

তৃণমূল বিধায়কের হুমকিতে ১ ভোটে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে সিপিআইএম-র জয়ী প্রার্থীকে! এই অভিযোগে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আজ এই মামলার শুনানিতে নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহার।
ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। সিপিআইএম প্রার্থী অর্পিতা বণিক সর্দার মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনের গণনার দিন তাঁকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। তখনই স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার লোকজন নিয়ে গণনাকেন্দ্রের মধ্যে ঢুকে আধিকারিকদের হুমকি দেন। তারপরই তৃণমূল প্রার্থীকে ১ ভোটে জয়ী করা হয়। নির্বাচনকে কমিশনকেও পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছিল। কিন্তু কমিশন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ।
মামলাকারীর বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি বলেন, নিয়মানুযায়ী গণনাকেন্দ্রে একজন বিধায়ক ঢুকতে পারেন না। তা সত্ত্বেও ওই দিন বিধায়ক কেন ঢুকেছিলেন? বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি সিনহা। মামলার পরবর্তী শুনানি ৮ অগাস্ট।
অন্যদিকে, হাবড়ার ২ নম্বর ব্লকের দিঘরা মালিকবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চচায়েতের তিনটি বুথে ১০০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। এই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ নির্বাচনের দিন কারচুপি হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, একটি বুথে ১৫২৯ জন ভোটার কিন্তু ভোট পড়েছে ১,৭৪০টি, অন্য একটি বুথে ভোট পড়েছে ২,৪৯৬টি অথচ ভোটার সংখ্যা ১,৪৮৮ জন। আরও একটি বুথে ১,৪৮১ জন ভোটার থাকলেও ভোট পড়েছে ২,১৭৭টি। যা দেখে কার্যত অবাক হয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। গোটা ঘটনায় হাবরা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও-র রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি। আগামী ৪ অগাস্টের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন