পুজোর আগেই ১২,০০০ পুলিশ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি! ডিউটি-ট্রেনিং একসাথে হবে - ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
পুজোর আগেই রাজ্য পুলিশের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২,০০০ শূন্যপদে নিয়োগ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে এই পুলিশদের একসাথে ট্রেনিং ও প্রশিক্ষণ নিতে হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
মমতা ব্যানার্জি বলেন, "১২০০০ পুলিশের রিক্রুটমেন্ট আটকে ছিল। এখনও অর্ডারটা আসেনি। সোমবার সম্ভবত ওটার ওর্ডার আসবে। এগুলো যদি আগে হয়ে যেত তাহলে আমরা রিক্রুটমেন্ট করে দিতে পারতাম। ১২০০০ সংখ্যাটা তো কম নয়। পুলিশে রিক্রুটমেন্ট করতে একটু টাইম লাগে। তাও বলেছি যাতে বেশি সময় না লাগে তা দেখবো"।
তিনি আরও জানান, "ডাক্তাররা যেমন মানে ইন্টার্নরা যেমন পড়াশোনাও করে আবার চিকিৎসাও করে তেমন পুলিশও ডিউটিও করবে আবার ট্রেনিং-ও নেবে। ওই ৩ মাস - ৬ মাসের ট্রেনিং-র প্রয়োজন নেই। কারণ আমার অত ম্যানপাওয়ার নেই। ম্যান পাওয়ারটা সব জায়গায় দিতে হয়"।
মমতা ব্যানার্জীর এই ঘোষণার তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে সর্বত্র। চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, আরজি কর কাণ্ডে যাকে গ্রেফতার করা হল সে তো একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। আবার বর্ধমানের ভাতারে নার্সকে আরজি কর করে দেব বলে কে হুমকি দিল? সেখানেও এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। উনি তো ৭ দিনের ট্রেনিং দিয়ে ডাক্তার করে দেন, ৪ দিনের ট্রেনিং দিয়ে নার্স আর ৩ দিনের ট্রেনিং দিয়ে নিরাপত্তা কর্মী করে দেবেন। এতে থ্রেট আরও বাড়বে।
পুলিশের প্রাক্তন কর্তারা এই বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে বলেন, এইভাবে পুলিশ করা যায় না। কারণ ডিউটি আর প্রশিক্ষণ একসাথে নেওয়া যায় না। কনস্টেবলদের কমপক্ষে ৬ মাস ট্রেনিং নিতে হয়। এসআইদের একবছর ট্রেনিং নিতে হয়। ট্রেনিং ছাড়া পুলিশ হলে সমাজের জন্য বিপদ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন