আমার এখন না বলার কিছু নেই। গত পাঁচ বছরে হাওড়ায় প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। আমার নামে বহিরাগত পোষ্টার লাগানো হয়েছে। লিলুয়ার রাস্তা দেখেছেন? আমি জনসাধারণের পক্ষে বলবো না? মানুষের পাশে দাঁড়ানো কি দলবিরোধী কাজ? রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কেঁদে ফেলেছেন। আমি কাঁদবো না। আমার নতুন করে কিছু প্রমাণ করার নেই। শুক্রবার তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হবার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানিয়েছেন বালীর তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া।
তিনি আরও বলেন - একজনকে দিয়ে দল বা সরকার চলে না। উইপোকারা দলকে কুরে কুরে খাচ্ছে। উইঢিপি রয়েই গেল। সমস্ত ফান্ড প্রাক্তন কাউন্সিলরদের পকেটে চলে যাচ্ছে। আম্ফানের সময় কোনো সাহায্য আসেনি। প্রাক্তন কাউন্সিলরদের কাছে ১৬০০ ত্রিপল। বালি বেলুড় লিলুয়াতে চাল এলো মাত্র ১১০০ কেজি। আমি কীভাবে আমার কেন্দ্রের মানুষদের কাছে পরিষেবা দেব?
তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে বৈশালী জানান - আমি কোনো দলে যোগ দেবার সিদ্ধান্ত নিইনি। বিজেপিতে যাওয়ার বিষয়েও কিছু ভাবিনি। আমি টিভি থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত শুনেছি। আমার কাছে কোনো চিঠি বা ফোন আসেনি। এটাই তৃণমূল।
অন্যদিকে বৈশালী ডালমিয়ার মূল ক্ষোভ যার দিকে সেই অরূপ রায় এদিন জানিয়েছেন – দল সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈশালী ডালমিয়ার বহিষ্কারের প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানান - দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য বৈশালীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উনি তো ২০১৬ সালে দলে এসেছেন। এখনই এত কথা বললে কী করে হবে?
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।