

রাজ্যে তৃতীয় বার তৃণমূল সরকার শপথ নেবার পর থেকেই ফের সরকারের সঙ্গে সংঘাত বেঁধেছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। যার জেরে এদিনই রাজ্যপালের অপসারণের দাবি উঠেছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। নতুন সরকার শপথ নেবার পর থেকেই প্রায় প্রতিদিন রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করছেন রাজ্যপাল।
গতকাল কোচবিহারে বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে সঙ্গে নিয়ে কোচবিহারে গেছিলেন রাজ্যপাল। শুক্রবার তিনি পৌঁছে যান আসামে। প্রতি জায়গাতেই তিনি রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত বিজেপি নেতা কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। আগামীকাল শনিবার তিনি নন্দীগ্রাম গিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করবেন। সেখানেও ভোট পরবর্তী হিংসার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকেলে রাজ্যপাল নিজেই ট্যুইট করে তাঁর আগামীকাল নন্দীগ্রাম সফরের কথা জানিয়েছেন।
রাজ্যপালের এই অতি তৎপরতা ভালোভাবে নিচ্ছেনা তৃণমূল। প্রতি জায়গাতে গিয়েই তিনি যেভাবে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তুলছেন তা ভালোভাবে নিচ্ছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব।
রাজ্যপালের এই ভূমিকা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় সরাসরি রাজ্যপালের অপসারণ দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য অনুসারে – রাজ্যপাল হিংসায় ইন্ধন জোগাচ্ছেন। কুখ্যাত সাংসদ নিয়ে ঘুরছেন। ওনাকে বরখাস্ত করা উচিৎ। বিজেপি আর রাজ্যপাল এক হয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত প্রায় একইভাবে এর আগে সপ্তম বামফ্রন্ট সরকারের আমলে রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। নন্দীগ্রাম পর্বে তাঁর একাধিক মন্তব্য এবং কর্মসূচি বিড়ম্বনায় ফেলেছিলো তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারকে। যার বিরোধিতায় সেইসময় বামফ্রন্ট সরব হলেও রাজ্যপালের সেই সময়ের ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়েছিলো তৎকালীন বিরোধী রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন