

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার সরাসরি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে চিঠি পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পাওয়া সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জেলা ভিত্তিক তালিকা পাঠাতে হবে।
মঙ্গলবার, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে চিঠিটি পাঠান সিবিআইয়ের দুর্নীতিদমন শাখার ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ সঞ্জয় কুমার সামল। ২০২২ সালের ৮ জুন কলকাতা হাই কোর্টের দেওয়া একটি নির্দেশের ভিত্তিতে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থে এই তথ্য তলব করেছে সিবিআই।
চিঠিতে, ২০১৪-এর টেটের ভিত্তিতে ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যে সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের সিরিয়াল নম্বর-সহ নাম, জন্মের শংসাপত্র, পিতার নাম, বর্তমান ঠিকানা, কোন স্কুলে তাঁরা কাজ করছেন এবং তাঁদের মোবাইল নম্বর দ্রুততার সঙ্গে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে জানাতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে, ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, সেই বিজ্ঞপ্তির প্রতিলিপিও জমা দিতে বলেছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের চিঠি পাওয়ার পরপরই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবারই, একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার। তাতে, বিভিন্ন জেলার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানকে ‘জরুরী ভিত্তিতে’ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন