২০১৬-র প্রাথমিকে জেলা ভিত্তিক ‘কাট অফ মার্কস’ তলব হাইকোর্টের, অস্বস্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত যে মামলা রয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে, তার চারটি মামলার শুনানিতে আজ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়গ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দুটি মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে চলে গিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। এরপরেও, প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত যে মামলা রয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে, তার চারটি মামলার শুনানিতে আজ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা যাচ্ছে, ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াতে সিবিআই তদন্ত চলছে। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ারই প্রত্যেক জেলার মেধাতালিকাভুক্ত প্রার্থীদের মিডিয়াম (বাংলা/ইংলিশ/হিন্দি) ভিত্তিক, কাস্ট বা জাতি ভিত্তিক ‘কাট অফ মার্কস’ (Cut off Marks) প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

অর্থাৎ, ২০১৬ সালের প্রাথমিক নিয়োগের জন্য জেলা ভিত্তিক যে তালিকা বেরিয়েছিল এবং যারা চূড়ান্ত প্রক্রিয়ায় ডাক পেয়েছিলেন, তাঁদের ‘কাট অফ মার্কস’ কত ছিল; তা আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে রিপোর্ট দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

আদালতের কাছে অভিযোগ উঠেছে, ‘কাট অফ মার্কস’-এর নীচেও অনেককে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আবার, ‘কাট অফ মার্কস’-এর নাম্বার যাঁদের বেশি, তাঁরা সুযোগ পাননি।

আদালতের এই নির্দেশের ফলে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

অন্যদিকে, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তাতে উঠে এসেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের নামও।

জানা যাচ্ছে, সিবিআইয়ের দেওয়া রিপোর্টে জানানো হয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সবকিছুই জানতেন মানিক। পর্ষদের সভাপতি হিসাবে সবকিছুই ছিল তাঁর নিয়ন্ত্রণে। ফলে তাঁর সম্মতিতেই বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদেরও টেট উত্তীর্ণ হিসাবে দেখানো হয়েছে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in