

২০২২ সালে পরীক্ষা হলেও এখনও নিয়োগপত্র হাতে আসেনি টেট উত্তীর্ণদের। পূজার আগে নিয়োগপত্রের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন টেট উত্তীর্ণরা। এই আবহে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। যার জেরে বৃহস্পতিবার দিনভর বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। এমনকি এদিন সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির কাছেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
বৃহস্পতিবার টেট সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে ব্রাত্য বসু বলেন, "কেউ কেউ দাবি করছেন যে শূন্যপদের সংখ্যা ৫০ হাজার। আমি পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। শূন্যপদ কত তা নির্দিষ্ট নয়"।
এরপরেই ব্রাত্যর ব্যাখ্যা, "দপ্তরও জানে না শূন্যপদ কত। জেলা প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিল পাঠাবে সেই সংখ্যা। বিজ্ঞপ্তি তাড়াতাড়ি দেওয়া হবে"।
মন্ত্রীর এই বক্তব্যের জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে টেট উত্তীর্ণদের মধ্যে। তাঁদের অভিযোগ, এত দিন বলা হচ্ছিল ওবিসি সংক্রান্ত মামলার জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে আছে। এখন আবার দাবি করা হচ্ছে, শূন্যপদের নির্দিষ্ট সংখ্যা দপ্তরের কাছেই নেই। তাঁদের প্রশ্ন, তবে এত দিন ধরে কেন অপেক্ষায় রাখা হল চাকরিপ্রার্থীদের?
এদিন সকালে পুজোর আগে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে বিধানসভা অভিযান করেন টেট উত্তীর্ণরা। এরপর শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের জেরে সন্ধ্যায় দমদমের কালিন্দীতে শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা।
তাঁদের অভিযোগ, সরকার ইচ্ছে করেই নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্বিত করছে। রাত পর্যন্ত দমদমের কালিন্দীতে শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে প্রতিবাদ চলতে থাকে। চাকরিপ্রার্থীরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন - নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন জারি থাকবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন