বাম ছাত্র যুবদের নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার, লাঠিচার্জ-জলকামান-কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহার পুলিশের

যদিও কোনোকিছুই দমিয়ে রাখতে পারছেন না যৌবনের স্পর্ধাকে। পরপর ব‍্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে চলেছে বাম ছাত্র-যুবরা। এই মুহূর্তে এস এন ব‍্যানার্জি রোডের অধিকাংশেরই দখল নিয়েছে তাঁরা।
মিছিলে জলকামান ব্যবহার পুলিশের
মিছিলে জলকামান ব্যবহার পুলিশের
Published on

বাম ছাত্র-যুবদের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হলো। ডোরিনা ক্রসিংয়ের সামনে মিছিল পৌঁছতেই বাধা দেয় পুলিশ। আন্দোলনকারীরা অ‍্যালুমিনিয়ামের ব‍্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে চাইলেই সংঘর্ষ বাধে পুলিশের সঙ্গে। ছাত্র-যুবদের উদ্দেশ্য করে জলকামান-টিয়ার গ‍্যাস ছোঁড়ার পাশাপাশি বেধড়ক লাঠিচার্জ করা শুরু করে পুলিশ। পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন ছাত্র-যুব। আন্দোলনকারীদের পাল্টা আক্রমণে আহত হয়েছেন কিছু পুলিশ কর্মীও। অ‍্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শুধু ডোরিনা ক্রসিং-ই নয়, প্রায় গোটা ধর্মতলা চত্বর রণক্ষেত্রের আকার নিয়েছে। একাধিক জায়গায় বাম ছাত্র-যুবদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয় আন্দোলনকারীদের। জলকামান-লাঠিচার্জ চালায় পুলিশ। অনেক বাম কর্মীকেই লাঠির ঘায়ে আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

যদিও কোনোকিছুই দমিয়ে রাখতে পারছেন না যৌবনের স্পর্ধাকে। পরপর অ‍্যালুমিনিয়ামের ব‍্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে চলেছে বাম ছাত্র-যুবরা। নবান্নে পৌঁছাতে মরিয়া তাঁরা।

'শিক্ষা দাও, কাজ দাও', 'হাল ফেরাও, লাল ফেরাও' দাবিতে বাম ছাত্র ও যুবর দশটি সংগঠন নবান্ন অভিযান করছে।অভিযান শুরুর আগে পৌনে ১১টার সময়ই একবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নবান্ন চত্বর। বাম বিধায়ক ইব্রাহিম আলির নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন যুব কর্মী নবান্নের সামনে চলে আসেন। "ইনকিলাব জিন্দাবাদ" স্লোগান দিতে দিতে নবান্নের উত্তরের গেট দিয়ে ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। সেইসময় উপস্থিত কর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। বিধায়ক সহ যুব কর্মীদের আটক করা হয়।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in