
ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বিক্ষোভ চলছে ২০১৬ –এর 'যোগ্য' শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। শুক্রবার সকালে মাথা মুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এরপর মিছিল করে বিকাশ ভবন যান। ২০১৬ সালের 'যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ'-এর ৬ জন প্রতিনিধি বিকাশভবনের ভেতরে ঢোকেন ডেপুটেশন জমা দিতে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করার দাবিও তোলেন তাঁরা।
দীর্ঘ শুনানি শেষে গত বছরের ২২ এপ্রিল ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় মামলাটি। শীর্ষ আদালতে এই মামলা এখনও বিচারাধীন। আগামী ৭ জানুয়ারি শীর্ষ আদালতে সেই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে নতুন করে বিক্ষোভে নেমেছেন নিজেদের যোগ্য বলে দাবি করা শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
গত ২৩ ডিসেম্বর শিয়ালদা থেকে মিছিল শুরু করেন যোগ্যরা। তারপর সেদিনই ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অবস্থানে বসেন এসএলএসটি শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁদের অভিযোগ, ২৬ হাজারের মধ্যে অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। অযোগ্যদের চাকরী বাতিলের পাশাপাশি যোগ্যদেরও চাকরী বাতিলের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। সাত বছর ধরে চাকরী করার পর এখন চাকরী নিয়ে অনিশ্চিয়তায় ভুগছেন তাঁরা। এই বিষয়ে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন।
শুক্রবার বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয় যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের পক্ষ থেকে। এদিন সকালে করুণাময়ী থেকে শুরু হয় সেই মিছিল। ন্যায় পাইয়ে দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে সুদক্ষ আইনজীবী নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের আরও দাবি, দুর্নীতিমুক্ত প্যানেল বাছতে সুপ্রিম কোর্টকে সমস্ত রকমের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে এসএসসিকে।
এই সমস্ত দাবি নিয়ে এদিন সকালে ধর্মতলায় ওয়াই চ্যানেলে মাথা মুড়িয়ে এক অভিনব বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। এরপর বিকাশভবনের উদ্দেশ্যে করুণাময়ী থেকে মিছিল শুরু করেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের আটকাতে রাস্তায় ব্যারিকেড করে পুলিশ। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে বিকাশ ভবনের আগে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। সেখানেই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। এরপর আন্দোলনকারীদের ৬ জনের প্রতিনিধি দল বিকাশ ভবনে যান ডেপুটেশন জমা দিতে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন