
বিজেপির বিরুদ্ধে ফের প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তথাগত রায়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের অনেক তাবড় নেতাই বিজেপিতে যোগদান করেন। এই দল বদলকারীদেরই ভোটে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। অপেক্ষাকৃত পুরোনো নেতারাই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছিলেন। দলীয় কর্মীদের সেই ক্ষোভ উসকে ফের আদি ও নব্য বিতর্ক তুলে দিলেন তথাগত।
আদি-নব্যের এই বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলে তথাগত রায়ের টুইট, 'যা বলেছিলাম ঠিক তাই। কাছা খুলে যাদের বিজেপিতে স্বাগত করা হয়েছিল, যাদের খাতিরে বিজেপির বিশ-ত্রিশ বছরের পুরোনো কর্মীদের চরম উপেক্ষা করা হয়েছিল তারা সবাই এক এক করে তৃণমূলে ফিরে যাচ্ছে।' তাঁর এই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন কয়েকজন বিজেপি সমর্থকও। নির্বাচনে বিজেপির বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে ভুল প্রার্থী নির্বাচনকেও দায়ী করেছেন অনেকে।
তৃতীয় বারের মতো বিপুল সংখ্যক আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এসেছে। তারপর একমাসও কাটেনি। নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া দলবদলুরাই এখন ফের ঘরে ফিরতে চাইছেন। পুরোনো দল তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে ইতিমধ্যে আবেদনও করেছেন অনেকে। কারা আবেদন করেছেন, সেই নাম নিয়ে কানাঘুষোও হয়।
দীপেন্দু বিশ্বাস, সোনালি গুহ, সরলা মুর্মু, অমল আচার্য সরাসরি আর্জি জানিয়েছেন। বিজেপিতে যাওয়া তাঁদের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে স্বীকার করেছেন। এই পরিস্থিতিতে দলবদলুদের এভাবে ‘ঘর ওয়াপসি’ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপি নেতা তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় টুইটে ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান, এই ধরনের দলবদলুদের খাতির করতে গিয়ে দলের পুরোনো কর্মীদেরই উপেক্ষা করা হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, তালিকা এখানেই শেষ নয়। লাইন বেশ দীর্ঘ। তবে অনেকে এখনই সামনে আসছেন না। বিজেপির পুরোনো কর্মীদেরও অভিযোগ, বহুদিনের পুরোনো কর্মীদের উপেক্ষা করে ভোটের আগে তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে জেলায় জেলায় সংগঠনের ভিত মজবুত হয়নি। তার ফল মিলেছে নির্বাচনে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন