
রাজ্যে শূন্যপদের খতিয়ান তুলে ধরে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী। সরকার ইচ্ছা করেই নিয়োগ প্রক্রিয়াতে জটিলতা বাড়াচ্ছে বলেই তিনি দাবি করেন।
শনিবার রাজ্য সিপিআই(এম)-র সদর দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করেন সুজন চক্রবর্তী। বৈঠকে তিনি বলেন, 'রাজ্যের স্কুলগুলিতে মাস্টারমশাই নেই। আর থাকলেও সংখ্যা কম শূন্যপদ বেশি। নতুন নিয়োগ হলেও তা হয়েছে মূলত টাকার বিনিময়ে, যোগ্যতার মাপকাঠি বাদ দিয়ে। কার্যত শিক্ষাকে এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যাতে, শিক্ষার আগ্রহটা আসতে আসতে কমুক, ছাত্ররা পারলে বেসরকারি দিকে চলে যাক, বেসরকারি ব্যবসা বাড়ুক। সরকার পরিকল্পিতভাবে সেই মনোভাব নিয়েই চলছে। যদি সরকারের ইচ্ছা থাকে চাকরি দেওয়ার তাহলে সাত দিনের মধ্যে মামলা মিটে যাবে। সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয়টা জটিল করছে'।
সাংবাদিক বৈঠকে তিনি কয়েকটি দাবিও তুলে ধরেন, 'এক যারা ২০১৫ সালের পর থেকে পরীক্ষার সুযোগ পাননি বসে আছেন সরকার অবিলম্বে বলুক তারা কবে পরীক্ষা দেবে? এই সংখ্যাটা প্রায় ১ লক্ষ। পরীক্ষা দেওয়ার অধিকার তাদের আছে। দুই, মন্ত্রী ২.৫ লক্ষ শূন্যপদ বলেছেন। তাহলে সেগুলি ফেজ ওয়ান, ফেজ টু, ফেজ থ্রি এই আভবে ১০ বছর নয় এই সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নিয়োগ দিতে হবে। ফেজ ওয়ানে ১১ হাজার কেন? ৫০ হাজার নয় কেন? তাহলেই তো জটিলতা মিটে যায়। সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে বেকার যুবকদের বেকারত্বের জ্বালাকে ব্যবহার করে এই গণ্ডগোলটা পাকাচ্ছে। সমস্ত শূন্যপদে সময় ভিত্তিক দ্রুত নিয়োগ করতে হবে'।
তিনি এও বলেন, সবমিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে। এই দুর্নীতি অন্ততপক্ষে ৪০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি। আমাদের কথা অত্যন্ত স্পষ্ট, ২.৫ লক্ষ শূন্যপদ ৮-১০ বছর ধরে সেই শূন্যপদে নিয়োগ না করার বদলে সরকার লেখা পড়া জানা যুবককে বঞ্চিত করেছে। আর সরকারের শূন্যপদ ৬ লক্ষ। কেন ২.৫ লাখ বলা হচ্ছে? প্রায় ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা এই লোপাট করে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন