মেয়ো রোডে পুলিশের সামনেই আত্মহত্যার চেষ্টা SSC চাকরি প্রার্থীদের

রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই এবার আত্মহত্যা করতে গেলেন এক এসএসসি চাকরি প্রার্থী। সেইখানেই মহিলা প্রার্থীদের জন্য অস্থায়ী শৌচাগার তৈরি করতে গেলে পুলিশি বাধার মুখে পরতে হয় তাদের।
অনশন করছেন চাকরি প্রার্থীরা
অনশন করছেন চাকরি প্রার্থীরাপ্রতীকী ছবি
Published on

রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগের মাঝেই প্রকাশ্যে আত্মহত্যা করতে গেলেন আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীদের একাংশ। এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল আত্মহত্যার ভিডিও।

বেশ কিছুদিন ধরেই মেয়ো রোডে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা। সূত্রের খবর, আন্দোলনকারী প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই মহিলা থাকায় তাদের জন্য একটি অস্থায়ী শৌচাগার তৈরি করছিলেন আন্দোলনকারীরা। তখন পুলিশি বাধার মুখে পরতে হয় তাঁদের। তখনই কয়েক জন মহিলা আন্দোলনকারী পাশে থাকা একটি গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। যদিও সাথে সাথে অন্যান্য আন্দোলনকারীরা ও মহিলা পুলিশকর্মীরা তাঁদের বাধা দেয় এবং উদ্ধার করেন।

এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যা দেখে রাজনৈতিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এই ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেছেন। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় এক কাউন্সিলর জানান, এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে কিছু জনের এদিন রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়াতে তা মূলত ভেস্তে যায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই গ্রুপ সি পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে অনুসন্ধান রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন বিচারপতি অরুনাভ বন্দোপাধ্যায় এবং বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের কমিটি। রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখিত, ৩৮১ জনকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে যার মধ্যে ২২২ জন কোনও পরীক্ষাই দেয়নি, তাদের নাম প্যানেলে না থাকায় কোনওরকম পার্সোনালিটি টেস্ট হয়নি। নিয়োগের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও নিয়োগপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। অসফল প্রার্থীদের ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, যেখানে চেয়ারম্যানের সই স্ক্যান করে বসানো হয়েছে। বহু চাকরি প্রার্থীর OMR শিট পরিবর্তন করে নম্বর বাড়ানো হয়েছে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in