SSC Group D Scam: চাকরি হারালেন গ্রুপ ডি-র ১৯১১ জন! সুপারিশপত্র বাতিল কমিশনের

যাঁরা চাকরী হারালেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে কেন্দ্রীয় তদন্ত কারী সংস্থা সিবিআই। এই ১৯১১ জনকে আদালতের কাছে নিজেদের বেতনও ফেরত দিতে হবে।
গ্রুপ ডি-তে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ
গ্রুপ ডি-তে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ

চাকরি হারালেন এসএসসি (SSC) গ্রুপ ডি-র ১৯১১ জন কর্মী! শুক্রবার, বেআইনি নিয়োগপ্রাপ্ত গ্রুপ ডি কর্মীদের সুপারিশপত্র বাতিল করল পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন

আদালতের নির্দেশ মেনে গ্রুপ ডি-র ১৯১১ জনের নাম, রোল নাম্বার, নিয়োগের মেমো নাম্বার প্রকাশের সহ সুপারিশপত্র বাতিলের অর্ডার প্রকাশ করেছে এসএসসি। যার অর্থ, বেআইনি নিয়োগপ্রাপ্ত ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মী চাকরী হারালেন।

শুধু তাই নয় হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, যাঁরা চাকরী হারালেন, তদন্তের স্বার্থে তাঁদের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্ত কারী সংস্থা সিবিআই। পাশাপাশি, এই ১৯১১ জনকে আদালতের কাছে ধাপে ধাপে নিজেদের বেতনও ফেরত দিতে হবে।

এই মামলার আইনজীবী ফিরদৌস শামীম জানান, 'ওএমআর শিট (OMR Sheet) ম্যানুপুলেশন (বিকৃতি) হয়েছে যাঁদের, তাঁদের মধ্যে ১৯১১ জনকে সুপারিশপত্র দিয়েছে বলে এফিডেভিট দিয়ে জানিয়েছে এসএসসি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেই ১৯১১ জনের রেকমেন্ডেশন (সুপারিশ) বাতিল করার জন্য এসএসসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। যা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে।'

এসএসসির নির্দেশ
এসএসসির নির্দেশ

শামীম বলেন, 'এরপর, ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (WBBSE), তাঁদের এপয়েন্টমেন্ট লেটারগুলো (Appointment Letter) বাতিল করবে। এই যে ১৯১১টি শূন্যপদ তৈরি হল, এবং আগে ওকেশনে (Occasion) ৬০৯ জনের নিয়োগ বাতিল হয়েছিল, সর্বমোট ২৫০০ জনের রেকমেন্ডেশন বাতিল হওয়া পদে নতুন নিয়োগ হবে। যারা যোগ্য, আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের চাকরী দিতে হবে কাউন্সিলিং-এর মাধ্যমে। অর্থাৎ বলা যেতে পারে, প্রায় আড়াই হাজার জন যোগ্য প্রার্থী চাকরী পেতে চলেছেন এই নির্দেশের ফলে।'

একইসঙ্গে, তিনি জানান, 'যারা ওএমআর শিট ম্যানুপুলেশনের ফলে চাকরী পেয়েছিলেন, তাঁরা ইন্সটলমেন্টে (installments) তাঁদের বেতন ফেরত দেবেন। শুধু তাই নয়, তদন্তকারী সংস্থা তথা সিবিআই তাঁদের ইন্টারোগেশন (জিজ্ঞাসাবাদ) করবে। প্রয়োজন হলে কাস্টোডিয়াল ইন্টারোগেশন (হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ) করতে পারবে।'

আইনজীবি শামীম বলেন, 'আদালত জানিয়েছে, যে সময় এই দুর্নীতি ঘটেছে, সেই সময়কার চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, তাঁর মাস্টার ডিগ্রি এবং পি এইচ ডি (Ph.D) ডিগ্রি - এই দুটি ডিগ্রির ব্যবহার করতে পারবেন না, যতদিন না পর্যন্ত তিনি এই মামলা থেকে অব্যাহতি পান।' বর্তমানে তিনিচ সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in