

শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রতিবাদ, ছাত্র সংসদ নির্বাচন সহ একাধিক ইস্যুতে সোমবার বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। সেই অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আহত একাধিক মহিলা এসএফআই কর্মী বলে অভিযোগ। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জেরও অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার ছিল বাম ছাত্র সংগঠনের বিকাশ ভবন অভিযান। এসএফআইয়ের দাবিগুলির মধ্যে ছিল - ড্রপ আউটদের ক্লাসরুমে ফেরাতে বিশেষ অর্থনৈতিক বরাদ্দ। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসার পরিকাঠামো পুনরুদ্ধারে সরকারি বাজেটে ব্যয়বরাদ্দ বৃদ্ধি। ছাত্র শিক্ষক অনুপাতে ভারসাম্য। অবিলম্বে সমস্ত স্তরে দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। ছাত্র সংসদ নির্বাচন। প্রযুক্তিকে সব মানুষের ব্যবহারযোগ্য করতে প্রতি ক্যাম্পাসে ফ্রি ইন্টারনেট জোন।
এছাড়া, দুর্নীতিমুক্ত ট্যাব বিতরণ প্রক্রিয়া, উপযুক্ত মিড ডে মিল, কম্পোজিট গ্রান্টের টাকা, কম খরচে শিক্ষা সামগ্রী। যৌন হেনস্থা রুখতে প্রতি স্কুল-মাদ্রাসায় পকসো কমিটি, জীবনশৈলীর ক্লাস ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে লিঙ্গ সচেতনতা সম্পর্কিত ইতিবাচক পদক্ষেপ।
এদিন বিকাশ ভবনের সামনে গার্ড রেল দিয়ে আগে থেকেই ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। এসএফআইয়ের মিছিল বিকাশ ভবনের সামনে গেলেই আটকায় পুলিশ। আন্দোলনকারীরা এগিয়ে যেতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তাঁদের। একাধিক এসএফআই কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। একাধিক কর্মীকে আটকও করে পুলিশ। বাম ছাত্র সংগঠন কর্মীদের দাবি, তাঁদের যে কর্মীরা এই মুহুর্তে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাঁদের ভ্যান থেকে নামাতে হবে। পাশাপাশি, অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে বলে দাবি তোলেন।
আটক হওয়া এক মহিলা এসএফআই কর্মী প্রিজন ভ্যানে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন তোলেন, “আটক করছেন কেন? বাড়িতে ছেলেমেয়ে নেই? এই দলদাস পুলিশ এই চোরেদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। মহিলা পুলিশ ছাড়াই পুরুষ পুলিশ ছাত্রীদের বুকে-পিঠে হাত দিয়ে, গ্রেফতার করছে। এই বাংলায় দাঁড়িয়ে ধর্ষকদের শাস্তি হয় না। কারণ পুলিশ এবং প্রশাসন প্রত্যেকেই, এক একজন পটেনশিয়াল রেপিস্ট!”
আর এক এসএফআই কর্মী বলেন, “এরা ধর্ষকদের গার্ড করছে। অভিযান এখনও শেষ হয়নি। আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, আমরা বিকাশ ভবনে এসেছি, ব্রাত্য বসু জিরো পেয়েছেন। অপদার্থ শিক্ষামন্ত্রীর হাতে আমরা শূন্য পাওয়ার মার্কশিট তুলে দেবই। যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের যতক্ষণ না মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ এখানে অবস্থান কর্মসূচি চলবে”।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন