

সল্টলেকে চাকরিপ্রার্থীদের ওপর ‘পুলিশী নির্যাতন’-র প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে পথে নামছে বাম ছাত্র-যুব সংগঠন SFI ও DYFI। বেলা ১২ টা থেকে করুণাময়ী মোড় থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
চাকরিপ্রার্থীদের পাশে প্রথম থেকেই দেখা গেছে বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠনগুলিকে। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি নিয়ে বহুবার পথে নেমেছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের ঘটনার পর প্রতিবাদ জানাতে একই পথ বেছে নিলেন তাঁরা। সকল ছাত্রযুবকে করুণাময়ীর মিছিলে পা মেলানোর আহ্বান জানিয়েছে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই। করুণাময়ীর পাশাপাশি গোটা রাজ্যেই বিক্ষোভ ও পথ অবরোধের কর্মসূচি নিয়েছে তারা। যার জেরে কলেজ স্ট্রিটের ঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন।
বৃহস্পতিবার মধ্যারাতেই DYFI রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন। মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, ‘প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে পর্ষদ সভাপতি সবাই জেলে চলে গেলো। অনেকের চাকরি বাতিল হলো। আর যারা যোগ্য তাঁরা রাস্তায় বসে থাকছে। পুলিশ বেআইনিভাবে তাঁদেরকে টানতে টানতে নিয়ে চলে গেলো আরও একটা আন্দোলনকে ভাঙার জন্য। এর প্রতিবাদে আমরা মিছিল করবো।'
এসএফআই-র রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য ফেসবুক পোস্ট করে জানান, ‘চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের উপর পুলিশি জুলুমের বিরুদ্ধে আজ SFI ও DYFI-এর ডাকে বেলা ১২টায় সল্টলেক করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডে জমায়েত। আরএসএস’এর হিন্দি ভাষা চাপানোর চক্রান্তের বিরুদ্ধে কলেজ স্ট্রিট থেকে ডাকা SFI-এর মিছিল আপাতত স্থগিত থাকবে’।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, পর্ষদ অফিসের সামনে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। সেই নির্দেশানুসারে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে ক্রমাগত আন্দোলনকারীদের উঠে যেতে মাইকিং করে। কিন্তু আন্দোলনে অনড় ছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। মধ্যরাতে আন্দোলন তুলতে তৎপর হয় প্রশাসন। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে ৮৪ ঘণ্টার ধর্না ভেঙে দেয় পুলিশ।
প্রায় সকল প্রার্থীকে টেনেহিঁচড়ে আটক করে বাসে তোলা হয়। ধ্বস্তাধস্তিতে একাধিক আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। সূত্রের খবর, প্রথমে সকলকে বিধাননগর উত্তর থানা ও নিউটাউন থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর রাতেই হাওড়া, শিয়ালদহ এবং ধর্মতলায় নামিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, "আমরা কি চোর? আমাদের এইভাবে অত্যাচার করে পুলিশ আটক করছে!" চাকরিপ্রার্থীরা পুলিশের বিরুদ্ধে সংবিধান অবমাননার অভিযোগও করেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন