শিক্ষামন্ত্রী বনাম রাজ্যপাল সংঘাত নয়া মোড় নিল। শুক্রবার রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছিলেন ব্রাত্য বসু। যার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রীকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যপাল।
অস্থায়ী উপাচার্য নিয়ে একাধিকবার রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছিল। যা এবার ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। শনিবার ব্রাত্য বসুর কথার পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, যা কাজ করেছি তাতে আমি গর্বিত। আজ মাঝরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, কী হবে দেখতে পাবেন। অ্যাকশন কাকে বলে বুঝে যাবেন'।
রাজ্যপালের মন্তব্যের পর ফের সরব হলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি নাম না করেই রাজ্যপালকে 'ভ্যাম্পায়ার' বলে কটাক্ষ করেছেন। ট্যুইটারে ব্রাত্য বসু লেখেন, "সাবধান! সাবধান! সাবধান! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার এসেছে! শহরবাসী নিজেদের নিরাপদ রাখুন। রাক্ষস প্রহরের জন্য অধীর আগ্রহে রয়েছি, যার উল্লেখ ভারতীয় পুরাণে আছে"।
প্রসঙ্গত, গতকাল ব্রাত্য বসু সি ভি আনন্দ বোসের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, "তিনি যে যে কাজ করে ত্রাতা সাজতে চাইছেন সেই স্বজনপোষণ, দলীয় কার্যকলাপ, বাংলার মানুষের রায়কে অপমান করা এগুলো সব উনি নির্বিচারে করছেন। আর ভালো মানুষের মতো বাংলা শিখেছি বলে টেলিপ্রমটারে রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলছেন। আমার মনে হয়েছিল এটা সাময়িক খামখেয়ালিপনা। কিন্তু পুরো ব্যাপারটা তুঘলকীয় হবে সেটা বুঝতে পারিনি"।
এই প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, এইসব করে মূল বিষয়গুলি থেকে নজর ঘোরানো হচ্ছে। এখন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের মধ্যে লড়াই হচ্ছে কে আচার্য হবেন। শিশুসুলভ আচরণ করছেন শিক্ষামন্ত্রী ও রাজ্যপাল। নিষ্ক্রিষ্টমানের ঝগড়া করছেন দু'জন। তার বদলে শিক্ষাব্যবস্থার দিকে গুরুত্ব দিলে বেশি ভালো হতো।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন