পুজোর পর খুলছে স্কুল! ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির

বৃহস্পতিবার কিছুটা আশার বাণী শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, পুজোর পর থেকেই স্কুল-কলেজ খোলার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। যদিও সেই সময়কার করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে
মমতা ব্যানার্জি
মমতা ব্যানার্জিফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

করোনা আবহে ছাত্র ছাত্রীদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন রাজ্য। তাই দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ স্কুল। কিন্তু করোনা না কমলে স্কুল খোলার কোনো ঝুঁকি নিতে নারাজ সরকার। তবে অনলাইনে পঠনপাঠন চালু রয়েছে। কিন্তু অনলাইন ব্যবস্থা নিয়েও বিস্তর সমস্যা। তাই কবে স্কুল খুলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছাত্র ছাত্রীরা।

এর মাঝেই বৃহস্পতিবার কিছুটা আশার বাণী শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, পুজোর পর থেকেই স্কুল-কলেজ খোলার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। যদিও সেই সময়কার করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ছাত্র ছাত্রীদের সুস্থ থাকাই অগ্রাধিকার সে কথা আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সে কারণে এবছর বাতিল করা হয়েছে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। বিশেষ মূল্যায়নের মাধ্যমে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনা ২০২০ সালের মার্চ থেকে চলছে।

করোনা বাংলায় থাবা বসানোর পরই স্কুল-কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য। পরবর্তীতে নির্দিষ্ট দুটি শ্রেণির ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে করোনা পরিস্থিতি ফের হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল-কলেজ।

তবে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। রাজ্যের দৈনিক পজিটিভিটি রেট ২ শতাংশেরও কম। তাই ফের স্কুল-কলেজ খোলার চিন্তা ভাবনা শুরু করল রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, 'পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুজোর পর স্কুল-কলেজ খোলার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। অলটারনেটিভ দিনে ক্লাস করানো হবে। নজর দেওয়া হবে যাতে কঠোরভাবে বিধি নিষেধ পালন করা হয়।' যদিও সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা অগ্রাধিকার পাবে।

উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, স্কুলে যাওয়া ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের টিকার প্রয়োজন নেই। এদিকে করোনা বাগে আসায় কেউ কেউ স্কুল খোলার পক্ষে। কিন্তু সামনেই করোনা তৃতীয় ঢেউ অপেক্ষা করছে। তাই একটি বড় অংশই এখনও এ নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছে।

রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুসারে শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৮১২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in