CISCE মান্যতা হারাল রিপন স্ট্রিটের স্কুল, প্রশ্নের মুখে বোর্ডের পরীক্ষায় বসতে চলা পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ

People's Reporter: অভিভাবকদের দাবি, স্কুল বিল্ডিংয়ের জরা-জীর্ণ অবস্থার জন্যই CISCE-এর তরফে কড়া সতর্কবাণী দিয়ে মান্যতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
Published on

CISCE-এর বৈধতা হারাল খাস কলকাতার স্কুল। প্রশ্নের মুখে ওই স্কুলের মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায়ের ২৩৭ জন পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ। এই নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের তরফে ব্যাপক বিক্ষোভ-প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। CISCE-এর বৈধতা হারানোর জন্য যাতে ছেলে-মেয়েদের একটা বছর নষ্ট না হয়, তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ওই স্কুলের অধ্যক্ষ। অভিভাবকদের বিক্ষোভ আন্দোলন সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যেতে হয় পুলিশকেও।

শুক্রবার Council for the Indian School Certificate Examination (CISCE)-এর তরফ থেকে বিবৃতি জারি করে শহরের রিপন স্ট্রিট এলাকার সেন্ট অগাস্টিন ডে স্কুলের থেকে CISCE মান্যতা কেড়ে নেওয়া হয়। তৎক্ষণাৎ পড়ুয়াদের অভিভাবকরা স্কুলে উপস্থিত হয়ে তাঁদের সন্তানদের বছর নষ্ট হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ব্যাপক প্রতিবাদ ও আন্দোলন শুরু হয়। স্কুলের অধ্যক্ষ রিচার্ড গ্যাস্পারকে অভিভাবকরা মারধর করেন বলেও খবর ছড়ায়। পরে যদিও ঘটনাক্রম খতিয়ে দেখে পুলিশ জানায়, অভিভাবকরা প্রতিবাদ দেখালেও অধ্যক্ষকে মারধরের খবর একেবারে ‘ভুয়ো’।

অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, CISCE-এর মান্যতা কেড়ে নেওয়ায় পড়ুয়াদের আগামী বোর্ডের পরীক্ষায় বসা অনিশ্চিত হয়ে গেল। তবে অভিভাবকরা জানেন, স্কুলের তরফ থেকে কোনও গাফিলতি হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই তারা শুধুমাত্র তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। তাই তারা CISCE-এর বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তবে আন্দোলনকারী অভিভাবকদের দাবি, স্কুল বিল্ডিংয়ের জরা-জীর্ণ অবস্থার জন্যই CISCE-এর পক্ষ থেকে কড়া সতর্কবাণী দিয়ে মান্যতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই কারণ গোপন করে রাখতে চায়।

এই নিয়ে স্কুলের অধ্যক্ষ রিচার্ডের পাল্টা দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষ এজেসি বোস রোডে নয়া বিল্ডিংয়ে স্কুল স্থানান্তর করার জন্য সবরকম প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে। পাশাপাশি, নতুন জায়গায় স্কুল স্থানান্তরের খবর CISCE কর্তৃপক্ষকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেছেন, CISCE কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে তাঁদের মান্যতা কেড়ে নিয়েছে। তবে খুব শিগগিরি ওই অনুমোদন পুনর্নবীকরণ হবে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in