

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ শান্তনুকে শর্তসাপেক্ষ জামিনের নির্দেশ দেন। যদিও ইডি মামলায় জামিন পেলেও আজই সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজির করানোর কথা শান্তনুকে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিশেষ সিবিআই আদালতে শান্তনু এবং কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে হাজির করানোর কথা। সূত্রের খবর, দুজনকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে সিবিআই। উল্লেখ্য, সোমবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র এবং শান্তনুকে আদালতে হাজির করানোর আবেদন করেছিল সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে বিশেষ আদালত।
২০২৩ সালের ১০ মার্চ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন হুগলির তৎকালীন তৃণমূলের যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলের বক্তব্য থেকেই প্রথমে কুন্তল ঘোষ এবং পরে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উঠে আসে। তাপস জানিয়েছিলেন, হুগলির এই দুই যুব নেতা নিয়োগ দুর্নীতি চক্রের অন্যতম মূল মাথা।
সেই সময় শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা উদ্ধার করেন ইডি আধিকারিকরা। জানা যায়, সেই তালিকায় রাজ্যের ১৭ টি জেলার ৩৪৬ জন প্রার্থীর নাম ছিল। সেই সময় ইডির চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছিল, ২৬ জন প্রার্থীকে চাকরী দেওয়ার জন্য ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন শান্তনু।
এছাড়া ইডি চার্জশিটে শান্তনু এবং তাঁর স্ত্রীর সংস্থার বিরুদ্ধে সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগও আনেন। চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়, শান্তনুর স্ত্রীর সংস্থা থেকে ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে জমি কিনেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। কিন্তু পরে তাঁকে সেই জমি দেওয়া হয়নি। এমনকি সেই ৪০ লক্ষ টাকা ফেরতও দেওয়া হয়নি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন