মন্ত্রীদের মাইনে বাড়ছে, খেলা মেলা উৎসব হচ্ছে, কিন্তু ডিএ দিচ্ছে না রাজ্য সরকার - সুজন চক্রবর্তী

এদিন সুজন বলেন, শুধু পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী দুর্নীতি সামনে আনলেই হবে না। এর সঙ্গে যে সব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মন্ত্রী বা অন্যান্য যারা যুক্ত আছেন তাদেরও কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
রাজ্য কো অরডিনেশন কমিটির সমাবেশে সুজন চক্রবর্তী
রাজ্য কো অরডিনেশন কমিটির সমাবেশে সুজন চক্রবর্তীনিজস্ব চিত্র
Published on

ডিএ অধিকারের লড়াই। এটা সবাইকেই দিতে হবে। একমাত্র ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গে ডিএ নিয়ে বঞ্চনা করা হচ্ছে। বাকি কোনো রাজ্যে এই বঞ্চনা নেই। পশ্চিমবঙ্গে ৩১% ডিএ বকেয়া। দীর্ঘদিন ধরে ডিএ আটকে রেখেছে রাজ্য সরকার। অথচ রাজ্যের মন্ত্রীদের মাইনে বাড়ছে। মেলা খেলা উৎসব হচ্ছে। কিন্তু ডিএ দেওয়া হচ্ছে না। শনিবার কলকাতার রানী রাসমণি রোডে রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্য কো-অরডিনেশন কমিটির ডাকে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে একথা বলেন সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।

এদিনের সভা থেকে বিজেপি ও তৃণমূল একশো দিনের কাজকে রাজনৈতিক হাতিয়ার' করছে বলে অভিযোগ করেন সুজন চক্রবর্তী। সিপিআই(এম) নেতার কথায়, ১০০ দিনের কাজের প্রবর্তনের মূল দাবিদার বামেরাই। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের তহবিলে টাকা না থাকলেও তিনি ১০০ দিনের কাজের টাকা দেবেন। সে প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী কটাক্ষ করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যা বলছেন সেটা ঠিক, নাকি মুখ্যমন্ত্রী কয়েকদিন আগে জানিয়েছিলেন যে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না, বঞ্চনা করছে, সেটা ঠিক?

এদিন সুজন বলেন, শুধু পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী দুর্নীতি সামনে আনলেই হবে না। এর সঙ্গে যে সব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মন্ত্রী বা অন্যান্য যারা যুক্ত আছেন তাদেরও কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ, পরেশ অধিকারী দুর্নীতি মামলা শুধুমাত্র চূড়া। গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি প্রভৃতি নিয়োগের ক্ষেত্রেও প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। সেই তালিকা আদালতের কাছে আছে। তাই তাদের চাকরির কী হবে তারও নিষ্পত্তি করতে হবে।

তৃণমূলের বিধায়ক আলোরানী সরকার প্রসঙ্গে এদিন সুজন চক্রবর্তী জানান, রাজনীতির ক্ষেত্রে এটা খুবই বিপদজনক প্রবণতা। অন্য দেশের একজন কিভাবে এদেশের নির্বাচনে প্রার্থী হয় সে বিষয় নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন থেকে যাচ্ছে। তিনি প্রথমে বিজেপির লোক ছিলেন, পরে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনে লড়েন।

পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সফরসূচি নিয়েও কটাক্ষ করে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন লকডাউনে ছিলেন তাই বেরোতে পারেননি এবার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, বকেয়া ৩১ শতাংশ মহার্ঘ্যভাতা, সমস্ত শূন্যপদ পূরণ, চুক্তি কর্মীদের নিয়মিতকরণ ও সমকাজে সমবেতন, প্রতিহিংসাপরায়ণ বদলি বাতিল এবং বহুমাত্রিক বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ করার দাবিতে শুক্রবার বিকেল তিনটে থেকে রাতভোর গণ অবস্থানের ডাক দেয় রাজ্য কো অরডিনেশন কমিটি।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in