

হাওড়ার ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা ব্যানার্জী। একই সাথে বিজেপিকেও দোষারোপ করলেন তিনি। ট্যুইট করে তিনি বলেন ‘পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?’
ঘটনার সূত্রপাত মূলত বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। হজরত মহম্মদ প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যের পরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মুসলিম সমাজ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। সেই আঁচ ছড়িয়ে পড়ে বাংলাতেও। গত দু-দিন ধরে কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে হাওড়ার ডোমজুড়, উলুবেড়িয়া সহ আরও অন্যান্য জায়গা। প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী হাতজোড় করে অনুরোধ করলেও কোনো লাভ হয়নি। পরে আরও হিংসাত্মক চেহারা নেয় বিক্ষোভ আন্দোলন।
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে শনিবার ট্যুইটারে কার্যত কড়া হুঁশিয়ারি দেন মমতা ব্যানার্জী। সমস্ত ঘটনার জন্য বিজেপিকেও দায়ী করেন তিনি। ট্যুইটে তিনি লেখেন, 'আগেও বলেছি, দুদিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে । এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে এবং তারা দাঙ্গা করাতে চায় - কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না এবং এ সবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে। পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?'
উল্লেখ্য, হিংসাত্মক পরিস্থিতির জন্য সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় ১০ ঘন্টা অবরোধের মুখে পড়তে হয় নিত্য যাত্রীদের। গতকালও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছু জায়গায় পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের খন্ডযুদ্ধ বাধে। বেশকিছু গাড়িতেও আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ঐসব অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। হাওড়াতে আগামী ১৩ জুন পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন