

সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হলো কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। আগামী সপ্তাহে পরবর্তী শুনানি।
কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বাইরনের বিধায়ক পদ খারিজের জোরালো দাবি ওঠে। এবার তা গড়ালো হাইকোর্ট পর্যন্ত। আইনজীবী সৌম্যশুভ্র বিশ্বাস জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, একদলের টিকিটে জিতে অন্য দলে গিয়ে তিনি ওই বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে অসম্মান করেছেন। এই কাজ গ্রহণযোগ্য নয়। অবিলম্বে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হোক। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে।
দলবদলের পর বার বার বাইরন একটাই কারণ দেখাচ্ছিলেন যে, তিনি দলে থেকে সাগরদিঘির মানুষের জন্য কাজ করতে পারছিলেন না। তিনি তৃণমূলের টিকিট পাননি বলেই কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়ে জয় লাভ করেছিলেন। তাঁর মতে সেই জয়তে কংগ্রেস বা বামেদের কোনো ভূমিকাই নাকি ছিল না। বাইরন বিশ্বাসকে দেখে মানুষ ভোট দিয়েছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন প্রয়োজন হলে পুনরায় ভোটে লড়ে দেখিয়ে দেবেন।
উল্লেখ্য, কংগ্রেস ও বাম কর্মী সমর্থকরা প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছিলেন পুনরায় নির্বাচনের জন্য। সাগরদিঘির সাধারণ মানুষরাও প্রায় সকলেই একই দাবি করেছেন। তাঁরা বাইরনকে 'মীরজাফর' বলেও কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন। এর মধ্যে যদি আদালতের রায় বাইরনের বিরুদ্ধে যায় তাহলে তৃণমূল যে অস্বস্তিতে পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ৪৭.৩৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন বাইরন বিশ্বাস। তৃণমূল পেয়েছিল ৩৪.৯৩ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ১৩.৯৪ শতাংশ ভোট। ২০২১-র বিধানসভার নিরিখে ওই নির্বাচনে তৃণমূলের ভোট কমে প্রায় ১৬ শতাংশ। বিজেপিরও ১০ শতাংশের বেশি ভোট কমে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন