
বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পরেও নিশ্চিত হতে পারছেন না প্রায় ২৬ হাজার চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন তাঁরা। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ।
সোমবার আম্বেদকর জয়ন্তী। সেদিন আইনজীবী, প্রাক্তন বিচারপতিদের আহ্বান জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আইনি পথে পুনরায় পুরানো পদ ফিরে পেতে চান তাঁরা। আন্দোলনস্থলে বসেই নিতে চান পরামর্শ। এদিন বিকাল ৫টা থেকে ধর্ণা শুরু হবে ওয়াই চ্যানেলে। অন্যদিকে, ওয়াই চ্যানেলে একটি বাক্স বসিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সকলকে তাঁদের পরামর্শ ওই বাক্সে ফেলে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা। সেই পরামর্শও বিবেচনা করবেন তাঁরা।
পয়লা বৈশাখের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবারও কর্মসূচি রয়েছে চাকরিহারাদের। এদিন বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে, বুধবার থেকে দিল্লির যন্তর-মন্তরে ধর্ণায় বসতে চলেছেন চাকরিহারাদের একাংশ। সোমবারই সেই দলটি ধর্মতলার ওয়াই চ্যালেন থেকে বাসে চেপে রওনা দেবে দিল্লির উদ্দেশ্যে।
চাকরিহারাদের একাংশ এখনও স্কুলে গিয়ে পড়াচ্ছেন। বৃহস্পতিবার কালো ব্যাজ পড়ে কাজে যোগ দেবেন তাঁরা। এরপর আগামী ১৮ ও ১৯ এপ্রিল জেলাভিত্তিক মিছিল, পথসভা রয়েছে চাকরিহারাদের। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষদের আহ্বান জানানো হয়েছে। এই দু’দিন গণস্বাক্ষর কর্মসূচি রয়েছে চাকরিহারাদের।
আগামী ২২ এপ্রিল সংগৃহীত সেই স্বাক্ষর নিয়ে শিয়ালদা থেকে রাজভবন পর্যন্ত মিছিলের আহ্বান জানানো হয়েছে। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হবে। এমনকি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হস্তক্ষেপের প্রার্থনাও করবেন চাকরিহারারা। ২২ এবং ২৩ এপ্রিল রাস্তায় কর্মসূচির ঘোষণা হলেও বিস্তারিত নির্ধারিত হয়নি।
এছাড়া, আগামী ১ থেকে ৭ মে পর্যন্ত রিলে অনশনের পরিকল্পনা করেছেন চাকরিহারাদের একাংশ। সংগঠনের পক্ষ থেকে ৭ মে-র পর থেকে আমরণ অনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে সল্টলেকে অনশন করছিলেন তিনজন চাকরিহারা। অনশনরত চাকরিহারাদের মধ্যে শনিবার একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রবিবার বাকি দু’জন অনশন প্রত্যাহার করে। ওই চাকরিহারাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিবিআইকে মেল করে ওএমআর শিট নিয়ে জানতে চাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। যে ওএমআর শিট নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল, তার বিশদ জানতে চাইবেন তাঁরা। এছাড়া পরবর্তী কিছু পদক্ষেপ রয়েছে তাঁদের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন