Presidency University: ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভে অনড় পড়ুয়ারা

পড়ুয়াদের প্রশ্ন, একাধিক ক্ষেত্র খুলে দেওয়া হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয় কেন?
অবস্থানে পড়ুয়ারা
অবস্থানে পড়ুয়ারাছবি - কৌশিকী দত্তচৌধুরী
Published on

প্রয়োজনীয় কোভিড বিধি বজায় রেখে ক্যাম্পাস স্বাভাবিক করে দ্রুত পঠনপাঠন শুরু করার দাবিতে সোমবার থেকে টানা তিনদিন ধরে প্রেসিডেন্সি চত্বরে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা। তবে এই ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। উল্টে পড়ুয়ারা জানিয়েছে, যদি তাঁদের দাবিতে কর্তৃপক্ষ কোনও সদর্থক ভূমিকা না নেয়, তা হলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

কোভিড আবহে গত দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনলাইন শিক্ষা চালু থাকলেও পড়ুয়ারা পড়াশোনার মূল স্রোত থেকে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছেন। তৈরি হয়েছে মানসিক অস্থিরতা। শপিংমল, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল খুলে গেলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে এখনও মুখে রা কাড়েনি রাজ্য সরকার। পড়ুয়াদের প্রশ্ন, একাধিক ক্ষেত্র খুলে দেওয়া হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয় কেন?

অন্যদিকে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে রাস্তার ধারে বা খোলা জায়গায় কোভিড বিধি মেনে ক্লাস শুরু হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। শিক্ষক সমাজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিকে সমর্থন জানিয়ে সেখানে পড়ুয়াদের ক্লাস নিয়েছেন। সম্প্রতি সোনারপুরে স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে এরকমই এক মিছিলে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের উপস্থিতিতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।

টানা তিনদিন ধরে অবস্থান-বিক্ষোভ চালানোর পাশাপাশি প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের দাবি, ল্যাবরেটরি এবং লাইব্রেরিও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনা হোক। স্থগিত থাকা পরিচয় পত্র প্রদান প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানান। গত সোমবার পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসের গেট খুলে দিতে বাধ্য হয়। এখন ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে তাঁরা বিক্ষোভ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

যদিও চূড়ান্ত অমানবিক হয়ে বাথরুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বন্ধ রয়েছে জল সরবরাহও। প্রেসিডেন্সি ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে দেবনীল পাল জানান, আমাদের অবস্থান-বিক্ষোভ তুলে দেওয়ার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু যতক্ষণ না কর্তৃপক্ষ সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলন চলতে থাকবে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in