

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি নির্যাতিতার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা থেকে সকলকে বিরত থাকতে বলেন।
শুক্রবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বুধবার মহিলাদের রাত দখলের কর্মসূচির রাতে কেন পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল না? যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখানে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করল না কেন? সেমিনার রুম সংলগ্ন অন্য একটি ঘর কেন ভাঙা হল? আরজি করের জরুরী বিভাগ ভেঙে চুরমার করা হল। পুলিশ ব্যবস্থা নিল না কেন? হাসপাতাল চত্বর সুরক্ষিত কিনা তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে রাজ্যকে।
বিচারপতিরা জানান, পুলিশ তো নিজেদেরকেই রক্ষা করতে পারছে না। সাধারণ মানুষকে রক্ষা করবেন কীভাবে? আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করবেন কী করে? যদিও পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে। পুলিশ কড়া হাতেই ব্যবস্থা নিচ্ছে।
পাশাপাশি আদালত জানায়, সকলের কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্যাতিতার নাম এবং ছবি ভাইরাল করবেন না। কোনও সংবাদমাধ্যমও মৃত চিকিৎসকের নাম বা ছবি প্রকাশ করতে পারবে না। এটা বেআইনি।
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও এদিন তীব্র ভর্ৎসনা করে আদালত। সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী বলেন, সন্দীপ ঘোষের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক। রাজ্য বা কেন্দ্র যেকোনও সরকার নিরাপত্তা দিক। মামলায় সমস্ত রকম সহযোগিতা করা হবে।
আদালত জানায়, সন্দীপ ঘোষ তো প্রভাবশালী ব্যক্তি। ওনার নিরাপত্তার প্রয়োজন কেন? তাঁর সাথে তো রাজ্য আছে। বাড়িতে থাকুন, শান্তিতে থাকুন। নয়তো কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিচ্ছি।
আগামী বুধবার পরবর্তী শুনানি। সেদিন সিবিআই তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দেবে আদালতে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন