বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে ৩ মাসের মধ্যে, রাজ্যকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

রাজ্য সরকারকে ৩ মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মেটাতে নির্দেশ দিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্তের বেঞ্চ।
কলকাতা হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্টফাইল চিত্র
Published on

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বরাবরের অভিযোগ - তাদের বকেয়া ডিএ মেটাচ্ছে না রাজ্য সরকার। এই নিয়ে মামলাও হয় হাইকোর্টে। আর সেই মামলায় রাজ্য সরকারকে ৩ মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মেটাতে নির্দেশ দিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্তের বেঞ্চ।

২০১৬ সালে বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবিতে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের কাছে মামলা করে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী পরিষদ। সেখান থেকে পরে মামলা যায় হাইকোর্টে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ পে কমিশন নিয়ে প্রায় ৬৮ শতাংশ ডিএ বাকি আছে বলে কর্মীদের দাবি। কিন্তু তার অর্ধেক ডিএ মেটানোর জন্য তারা অনুরোধ করা সত্ত্বেও রাজ্যের তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, এর আগেও কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিলে তা বস্তবে রূপান্তরিত হতে দেখা যায়নি।

এদিন হাইকোর্ট রাজ্যের কাছে জানতে চায় হঠাৎ ডিএ বন্ধ হওয়ার কারণ। পাশাপাশি হাইকোর্ট বলে ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতা হচ্ছে কর্মচারীদের আইনি ও মৌলিক অধিকার। রাজ্যের তরফ থেকে বলা হয় তহবিলের অভাব থাকায় ডিএ মেটাতে পারছেনা রাজ্য। কিন্তু রাজ্যের এই আবেদন খারিজ করের দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট আগামী ৩ মাসের মধ্যে সমস্ত বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকারকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও স্যাট এর তরফ থেকে একই নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্য সরকারকে। সেই রায়ই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট।

এই প্রসঙ্গে বামনেতা সুজন চক্রবর্তী এক সংবাদমাধ্যমে জানান, 'হাইকোর্টের রায় স্বাভাবিক ও সঙ্গত। রাজ্য সরকার খেলা, মেলা করে টাকা খরচ করতে পারে আর বকেয়া ডিএ দিতে পারছেনা!'

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in