
এক ভদ্রমহিলার বাড়ি থেকে ইডি টাকা উদ্ধার করেছে। ইডি সূত্রে তা আমরা জানতে পেরেছি। তৃণমূল কংগ্রেস খুব স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে এই টাকার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। যার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। শনিবার বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারি সম্পর্কিত এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলের মুখপাত্র বলেন, “আমরা খুব স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি আইন এবং আদালতের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। আমাদের দুটি বক্তব্য জানানোর আছে। আমাদের বক্তব্য এই টাকার উৎস কী? এর পেছনে কী আছে? গল্প না ছড়িয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আদালতের কাছে বিষয়টি জানিয়ে দিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, যেখানে নোটবন্দী হয়েছিলো সেখানে এত বেআইনি টাকা, কালো টাকা এল কোথা থেকে সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা দরকার। বিচারে যদি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস দলগত ভাবে নিশ্চিত ব্যবস্থা নেবে।
রাজ্যের বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, আমরা সিপিএম, বিজেপি কংগ্রেস এঁদের যে কথা শুনছি তাদের কোনও কথা বলা সাজে না। ২১ জুলাই ঐতিহাসিক মিছিলকে ভয় পাবার পর এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, দু’মাস আগে কোর্ট তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে। যদি এর মধ্যে পার্থদা ওয়াশিং মেশিনে ঢুকে যেত তাহলে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হত না। যে কেসে আমাকে জেলে যেতে হয়েছিল সেই একই কেসে যে ওয়াশিং মেশিনে ঢুকে গেল আজ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
হাকিম আরও বলেন, ভারতের এজেন্সিগুলোকে বিজেপি রাজনৈতিক কারণে কাজে লাগাচ্ছে। আমাদের তৃণমূল কংগ্রেস অন্যায় করে না। বিচার ব্যবস্থার ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। বিচারে যদি দেখা যায় কেউ দোষী তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু ষড়যন্ত্র হলে আমরা তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব। নৈতিকভাবে আমরা আমাদের মাথা নত করবো না। তৃণমূল কংগ্রেস মাথা নত করে না।
কুণাল আরও বলেন, এই সেই বিজেপি যাদের সর্বভারতীয় সভাপতি ঘুষ নিতে গিয়ে ক্যামেরার সামনে ধরা পড়েছিলেন। এই সেই বিজেপি যারা একের পর এক দুর্নীতি করে গিয়েছে। আমরা আবারও বলছি আইন আইনের পথে চলবে। আদালতের ওপর আস্থা আছে। যদি আইনে কেউ দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস ব্যবস্থা নেবে।
কুণাল জানান, বিরোধীদের এই সস্তার রাজনীতিতে গুরুত্ব দেবার কোনও দরকার নেই। বিরোধীদের এই বিষয়ে কথা বলার কোনও নৈতিক অধিকার নেই। সিপিএম, বিজেপির কোনও অধিকার নেই এই বিষয়ে বলার। পার্থদা দুমাস আগে বিজেপিতে গেলে ইডি তাঁর বাড়িতে যেত না। যে ভদ্রমহিলার বাড়ি থেকে টাকা পাওয়া গেছে তিনি তৃণমূলের কেউ নন। তৃণমূল কংগ্রেস আত্মবিশ্বাসী। তৃণমূল এক এবং অটুট আছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন