
চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে আরো চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন মামলাকারীরা। তাঁদের দাবি, ২৫ জন নয়, কমপক্ষে ৫০০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে দুর্নীতি করে। অন্যদিকে প্রাথমিকভাবে স্কুল শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের হলেও এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দিকেও আঙুল উঠলো, যা দেখে বিচারপতির মন্তব্য, 'দুর্নীতিতে দেশ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।'
নিয়োগের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও জাল নথি তৈরি করে প্রচুর চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে এসএসসি-র বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কিছু চাকরিপ্রার্থী। সেই মামলার প্রেক্ষিতে কমিশনের সচিবকে তলব করেছিল আদালত। কমিশন বৃহস্পতিবার আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে জানায়, এই নিয়োগের সুপারিশ তারা করেনি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দিকে আঙুল তোলে কমিশন। পর্ষদ পাল্টা দাবি করে, কমিশনের সুপারিশেই এই নিয়োগ হয়েছে।
আদালতেই একে অপরের দিকে আঙুল তোলে কমিশন-পর্ষদ, যা দেখে অবাক হয়ে যান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়ে দেন কমিশনের হলফনামায় সন্তুষ্ট নন তিনি। কমিশনকে ফের হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি পর্ষদকেও নিজেদের দাবি সংক্রান্ত হলফনামা জমা দিতে বলেন তিনি। সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
পর্ষদের আইনজীবী হলফনামার জন্য অতিরিক্ত সময় চাইলে ক্ষুব্ধ বিচারপতি বলেন, সমাজ দুর্নীতিতে ভরে গেছে। আর আপনি অতিরিক্ত সময় চাইছেন? কেউ অন্যায় করেনি বলছেন। সবাই নিজেকে সৎ দাবি করছেন। অথচ দেশ দুর্নীতিতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, শুনানী চলাকালীন মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, ২৫ জন নয়, অস্বচ্ছ ভাবে নিয়োগের সংখ্যা ৫০০ জনেরও বেশি। যা শুনে চমকে ওঠেন বিচারপতি। সোমবারের মধ্যে মামলাকারীদের এই ৫০০ জনের নাম-ঠিকানা আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আগেই যে ২৫ জনের কথা উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছিল, তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার বাকিদের উদ্দেশ্যে কী নির্দেশ দেয় আদালত, তাই দেখার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন