

বকেয়া ডিএ না দিলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজ করবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সরকারী কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে এই বিষয়টি জানিয়ে মেল করেছে সংগঠনটি। পঞ্চানন বর্মার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আজ রাজ্যের সব দফতর বন্ধ থাকায় চিঠি দিতে পারেনি যৌথ মঞ্চ। জানা গেছে আগামীকাল উভয় অফিসে গিয়ে চিঠি দেবেন সংগঠনের সদস্যরা।
সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, অবিলম্বে বকেয়া ডিএ দেওয়ার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না নিলে, লাগাতার কর্মসূচির দিন ঘোষণা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তাঁরা।
ইমেলে সংগঠনের পক্ষ থেকে দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। প্রথম শর্ত - অবিলম্বে তিন শতাংশ হারে ডিএ বাড়াতে হবে রাজ্যকে। এর ফলে মূল বেতনের (বেসিক) ৪২ শতাংশ ডিএ প্রাপ্তি হবে কর্মীদের। সংগঠনের দ্বিতীয় শর্ত হল, শীঘ্রই রাজ্য সরকারের সব খালি পদে নিয়োগ করতে হবে। এই দুটি শর্ত পূরণ না হলে তাঁরা ভোটের ডিউটিতে যাবেন না।
এই বকেয়া ডিএর দাবিতে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে শহিদ মিনারে সরকারি কর্মচারিদের ৩৫টি সংগঠন, যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ নাম নিয়ে ধরনায় বসেছে। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বহু সরকারি কর্মচারীর শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুজন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা কিছুটা সঙ্কটজনক।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচনে সরকারি কর্মচারীরা বড় ভূমিকা নিয়ে থাকেন ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সরকারী কর্মীদের আন্দোলনে পঞ্চায়েত ভোটের আগে চিন্তার ভাঁজ প্রশস্ত হচ্ছে রাজ্য সরকারের কপালে। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন আরো জোরদার হতে চলেছে। তবে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারি তরফে কোনো বিবৃতি মেলেনি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন