যুবকদের স্বপ্ন ধ্বংস করতে, বাংলা ধ্বংস করতে নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর চক্রান্ত হয়েছে - সুজন চক্রবর্তী

বামেদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে আদতে ক্ষতি হয়েছে বাংলার। ক্ষতি হয়েছে বাংলার মানুষের। ক্ষতি করতে তৃণমূলের সঙ্গী হয়েছে বিজেপি।
নির্বাচনী প্রচারে সুজন চক্রবর্তী
নির্বাচনী প্রচারে সুজন চক্রবর্তীছবি সুজন চক্রবর্তীর ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত
Published on

বামেদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে আদতে ক্ষতি হয়েছে বাংলার। ক্ষতি হয়েছে বাংলার মানুষের। ক্ষতি করতে তৃণমূলের সঙ্গী হয়েছে বিজেপি। শিশির অধিকারী, শুভেন্দু অধিকারী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের জেরে যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এমনই মনে করছেন যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার বাম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী।

রবিবার নন্দীগ্রামের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে বলেন, বাপ-ব্যাটার অনুমতি ছাড়া পুলিশ ওখানে যেত না। তিনি কাদের ইঙ্গিত করছেন তা খুবই স্পষ্ট। সেই প্রসঙ্গে যাদবপুর কেন্দ্রের বাম প্রার্থী বলেন, পরস্পরকে দোষারোপ করতে গিয়ে আদতে ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র ফাঁস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তাঁর কথায়, "মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করলেন চটি পরা পুলিশের নামে আসলে অধিকারীরা ষড়যন্ত্র করেছেন। অধিকারীরা বলছেন তাঁরা যাবতীয় কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় করেছিলেন। অথচ তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেছিলেন, মানুষ না চাইলে এক ইঞ্চি জমি নেব না।' এদিকে তাপসী মালিকের বাবাও বলছেন, সিপিএম নয়, এর দায় তৃণমূলের।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করে সুজন বলেন, সিঙ্গুরে ষড়যন্ত্র হয়েছে, নন্দীগ্রামে ষড়যন্ত্র হয়েছে। সিবিআই তদন্ত করছিল, তারপর সরকার চুপ কেন। সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে কমিশন গঠন করে। কমিশনের রিপোর্ট কোথায়। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে সেই রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নয়, তদন্ত করে মমতাকে জেল খাটানোর পক্ষে জোরালো দাবি করলেন বাম নেতা। অধিকারীদের জেলে পাঠানোর পক্ষেও সরব তিনি। তাঁর দাবি, পুলিশকে ব্যবহার করেছিল তৃণমূল। তারপর ক্ষমতায় এসে তাঁদেরই পুরস্কৃত করা হয়েছে। যুবকদের স্বপ্ন ধ্বংস করতে, বাংলা ধ্বংস করতে নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর চক্রান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করে সুজন দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিশির অধিকারী, শুভেন্দু অধিকারীদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হোক। তাহলেই সব প্রমাণ হয়ে যাবে। ওঁদের সকলকে বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in