ভোটকর্মীর মৃত্যু হলে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও একজনের চাকরির দাবিতে স্মারকলিপি বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের

কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভোটের কাজ করতে গিয়ে কোনো কর্মীর কোভিডে মৃত্যু হলে ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়াও ভোটের সময় নাশকতা বা হিংসায় কোনো কর্মীর মৃত্যু হলে তাঁরাও ক্ষতিপূরণের আওতাও থাকবেন।
ভোটকর্মীর মৃত্যু হলে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও একজনের চাকরির দাবিতে স্মারকলিপি বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের
ছবি প্রতীকী সংগৃহীত
Published on

একুশের নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই নিজেদের নিরাপত্তা-সহ একাধিক দাবিতে সরব হলেন ভোটকর্মী শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা। নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই ভোটকর্মীদের সমস্যায় পড়ার কথা নতুন কিছু নয়। তাই নিজেদের পরিবারের সুরক্ষার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে স্মারকলিপি দিয়ে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির দাবি, নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের সময় কোনও ভোটকর্মীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ লক্ষ টাকা ও একজনকে চাকরি দিতে হবে।

বুধবারও বিভিন্ন জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে অল পোস্ট গ্রাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন। পাশাপাশি অ্যাডভান্ডস সোসাইটি ফর হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেস এবং সেকেন্ডারি টিচার্স অফ এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনও নির্বাচনে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।

তারা দাবি জানিয়েছে, ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী দিতে হবে। প্রতিটি ভোটকর্মীর জন্য বিমার ব্যবস্থা করতে হবে ও ভোটের আগে তাঁর সার্টিফিকেট দিয়ে দিতে হবে। ভোট মিটে যাওয়ার পর কর্মীদের বাড়ি ফেরার সময় উপযুক্ত নিরাপত্তা দিতে হবে। পাশাপাশি বাড়িতে অসুস্থ বাবা-মা থাকলে বা নির্ভরশীল শিশু থাকলে মাকে ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি দিতে হবে বলে জানিয়েছেন। বিশেষভাবে সক্ষমদের ছাড় দিতে হবে ভোটের কাজে। পাশাপাশি শিক্ষিকাদের বাড়ির কাছে ভোটকেন্দ্রে কাজ দিতে হবে।

অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রাজ্যে এবার নির্বাচনের কাজে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ কর্মী লাগবে। প্রতি ভোটকর্মীকে প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধার মর্যাদা দেওয়া হবে এবং এঁদের প্রতিষেধকের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে ভোটের কাজ করতে গিয়ে কোনো কর্মীর কোভিডে মৃত্যু হলে তাঁকে ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়াও ভোটের সময় নাশকতা বা হিংসার ঘটনায় কোনো ভোটকর্মীর মৃত্যু হলে তাঁরাও ক্ষতিপূরণের আওতাও থাকবেন।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in