

মমতা ব্যানার্জীর অনশন ২৬ দিন নাকি ২১ দিন হয়েছিল? তা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হল কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের লেখা একটি প্রবন্ধ ঘিরে।
মমতা ব্যানার্জীর রাজনৈতিক জীবনে ২৬ দিনের অনশনের ভূমিকা সকলেই জানেন। তবে সেটার দিনসংখ্যা নিয়ে একাধিক মতপার্থক্য দেখা দেয়। যদিও তৃণমূল সুপ্রিমো বরাবরই দাবি করে এসেছেন তিনি ২৬ দিনই অনশন করেছিলেন। তাহলে ফিরহাদ হাকিম হঠাৎ কেন লিখলেন ২১ দিন অনশন?
কলকাতার মেয়র অনশনের দিন উল্লেখ করেন তৃণমূলের মুখপত্রের শারদ সংখ্যায়। ফিরহাদ হাকিম ওই সংখ্যায় ‘মমতাদিকে যেমন দেখেছি’ নামক একটি প্রবন্ধ লেখেন। তিনি লেখেন, “সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আন্দোলন তো গোটা পৃথিবীতে রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাসে উজ্জ্বল জায়গা করে নিয়েছে। দিদি ২১ দিন অনশন করলেন”।
মমতা ব্যানার্জীর এত ঘনিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও এত বড় ভুল করবেন তিনি! তাহলে কি দীপক ঘোষের লেখাই সত্যি ছিল? সাধারণ মানুষের থেকে সত্যি গোপন করেছেন তৃণমূল নেত্রী? ফিরহাদ হাকিমের লেখা ঘিরে এইসবই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন তৃণমূল নেতা দীপক ঘোষ তাঁর একটি লেখাতে উল্লেখ করেছিলেন মমতা ব্যানার্জী সিঙ্গুরের কারখানার বিরোধিতা করে ২১ দিন অনশন করেছিলেন। সেই অনশন প্রথমে লেবুর সরবত খেয়ে শুরু হয়। কিন্তু যতদিন যায় অনশনে রকমারি খাবার খেতে থাকেন তৃণমূল নেত্রী। শুধু তাই নয় - চিকেন অথবা চিজ স্যান্ডউইচ, ফিস ফিঙ্গার আসতে থাকে অনশন মঞ্চে। তিনি এও দাবি করেন অনশন চলাকালীন চকোলেট খেতেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী।
২০০৮ সালে ডিসেম্বর মাসে এই অনশন শুরু করেন মমতা ব্যানার্জী। একাধিক তৃণমূলের নেতা নেত্রীরাও সামিল হয়েছিলেন টাটার কারখানা তৈরির প্রতিবাদে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন