বিধানসভার মতো লোকসভা ভোটেও বিজেপিকে রুখবেন মমতা ব্যানার্জি: তৃণমূলে যোগ দিয়ে অভিজিৎ মুখার্জি

সোমবার বিকেলে তৃণমূল ভবনে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলে যোগ দিলেন অভিজিৎ মুখার্জি
তৃণমূলে যোগ দিলেন অভিজিৎ মুখার্জিছবি এআইটিসি ট্যুইটার হ্যান্ডেলের সৌজন্যে
Published on

"বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করেছেন বিজেপি-কে তিনি রুখতে পারেন। আমার বিশ্বাস লোকসভা ভোটেও তিনি পারবেন।" তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর দলনেত্রীর প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে একথা বললেন প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির ছেলে, প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অভিজিৎ মুখার্জি।

সোমবার বিকেলে তৃণমূল ভবনে গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর কথায়, "এক কংগ্রেস ছেড়ে আর এক কংগ্রেসে এসেছি। আসলে কংগ্রেসেই আছি। ২০১১ সালে যখন সরকারি চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে আসি রাজ‍্যে তখন বাম বিরোধী হওয়া তুলেছিলেন মমতা দিদি। তখন আমি ওনার নেতৃত্বে লড়েছিলাম। আবার আমি ওনার নেতৃত্বে লড়তে এসেছি।"

এর আগে কংগ্রেসের টিকিটে দু'বার মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর কেন্দ্রের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন অভিজিৎ মুখার্জি। তারও আগে বীরভূমের নলহাটির বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন কংগ্রেসের টিকিটেই। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি না হলেও রাজ‍্য নেতৃত্বের প্রতি তো বটেই। তাঁর সাম্প্রতিক ট‍্যুইটগুলোই সেকথা প্রমাণ করে। রাজ‍্যে বাম-কংগ্রেস জোট নিয়েও ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পরই প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন শুরু হয় রাজ‍্যের রাজনীতিতে। সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথেও সাক্ষাৎ করেন তিনি। সূত্রের খবর, আগামী লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গিপুরে ঘাসফুলের প্রার্থী হতে পারেন তিনি।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in