

রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এর আগে একাধিক বার প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা। এবার রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্য পুলিশের একাংশ এবং সিআইএসএফ এই সমস্ত দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এই দুর্নীতি দমনে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে নবান্ন সভাঘরে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যের মানুষ চড়া দামে শাক-সবজি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁর নির্দেশ না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে রাজ্যের বাইরে পাচার হচ্ছে আলু-পেঁয়াজ, তা নিয়ে প্রশ্ন তলেন তিনি। পাশাপাশি, তিনি দাবি করেন, কয়লাখনি, বালিখাদান পাথরখাদান নিয়ে টেন্ডার বসানোর কথা থাকলেও, বাস্তবে তা হয়নি।
এই সমস্ত দুর্নীতিতে স্থানীয় পুলিশ, এমনকি সিআইএসএফ জড়িত বলে অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘কিছু বিষয়ে এখনই পদক্ষেপ কর। তুমি হয়ত চেষ্টা করছো, কিন্তু স্থানীয় পুলিশ করছে না। রাজীনীতিকদের বেশি বদনাম হয়। ৫ টাকা খেলে ৫০০ বলা হয়, চোর বলা হয়। রাজনীতিকরা কিন্তু টাকা খাওয়ার আগে দশ বার ভাবেন, তাঁদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু কিছু নীচু স্তরের অফিসার, কর্মী, যাঁরা এই সরকারকে ভালবাসেন না, তোমার পুলিশের কিছু লোকও টাকা খাচ্ছে।‘
এখানেই শেষ নয়। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সিআইএসএফ টাকা খেলেও, আমাদের ধরার অধিকার আছে। কারণ চুরি হলে বলবে তৃণমূল করছে। চুরি করে সিআইএসএফ, পুলিশের একাংশ। এটা আমি সহ্য করব না। আমার এক পয়সাও দরকার নেই। দলের নির্বাচনের জন্য দরকারে লোকের সামনে আঁচল পেতে টাকা নেব। বলতে পারবে না, আজ পর্যন্ত সরকারি কাজে কারও থেকে এক পয়সাও নিয়েছি। তাহলে অন্য কেউ নিলে কেন ছাড়বে? সকলের জন্য একই আইন, সমান ভাবে প্রযোজ্য।‘
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে চুরি, দুর্নীতি রুখতে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ এবং দুর্নীতি দমন শাখাকে কড়া হওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, রাজ্যের সিআইডিকেও নতুন করে সাজানো হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা ডিজির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে, যাচাই করে দেখো। অভিযোগ সত্য হলে কড়া পদক্ষেপ করতে পারো। কেউ বাধা দেবে না। আর দিলেও শুনব না আমি। আমি যদি আমাকে ক্ষমা করতে না পারি, তোমরা কাকে ভয় পাচ্ছো?’
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন