মহিলাদের উদ্দেশ্য করে অশালীন মন্তব্য, অভিযুক্ত অধ্যাপককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিল বাম কর্মীরা
বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে মহিলাদের উদ্দেশ্য করে অশালীন মন্তব্য করতেন, কুকথা বলতেন। ডঃ রাজদীপ মাইতি নামের ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। শনিবার সেই অধ্যাপককে কলেজের সামনে থেকে ধরে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় পুলিশের হাতে তুলে দিল বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর কিছু সদস্য।
শনিবার সমাজ মাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে জনাকয়েক ছাত্র ওই অধ্যাপককে কলেজের সামনেই ধরেছেন। এরপর তাঁকে ওই ছাত্ররাই আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় নিয়ে যায়। ওই ছাত্রদের বলতে শোনা যায় - 'আপনাকে আমরা কিছুই করবো না, আপনার গায়ে হাতও দেবো না। শুধু পুলিশের কাছে নিয়ে যাবো।' একজনকে বলতে শোনা যায়, 'আপনার যদি মানসিক সমস্যা থাকে তাহলে আমরা আপনাকে ডাক্তার দেখাবো।' যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।
সাম্প্রতিক সময়ে বার বার মহিলাদের উদ্দেশ্য করে অশালীন মন্তব্য করেছেন ওই অধ্যাপক। বিশেষ করে বাম মহিলা নেত্রীদের ছবি পোষ্ট করে তাতে অশ্লীল মন্তব্য করতেন। কখনও তাঁর নিশানায় মীনাক্ষী মুখার্জি, কখনও দীপ্সিতা ধর, আবার কখনও ঐশী ঘোষ। এছাড়াও অদ্রিজা রাহা নামের এক গবেষককেও একাধিকবার প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময়ে মন্তব্য করতে গিয়েও তিনি মহিলাদের প্রতি অশালীন উক্তি করতেন।
নিজেকে শাসক দলের সদস্য দাবি করা অধ্যাপকের ফেসবুক প্রোফাইল অনুসারে তিনি সূর্য সেন স্ট্রীট সিটি কলেজের অঙ্কের অধ্যাপক। তিনি শাসকদলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপারও সদস্য। এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই অধ্যাপকের প্রোফাইল দেখা যাচ্ছে না।
এর আগে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে একাধিকবার থানায় অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। থানায় অভিযোগ দায়ের হলে অধ্যাপক জানিয়েছিলেন, তাঁর দু’জন অ্যাডমিন আছে ফেসবুক পেজে। তিনি সবসময় দেখেন না।
সম্প্রতি ওই অধ্যাপকের শাস্তির দাবি জানিয়ে সূর্য সেন স্ট্রীটের সিটি কলেজের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন