বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের কর্মীদের অক্সিজেন যোগাতে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে সিপিআইএম। আজই বিধানভবনে হওয়া একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিআইএম। শরিক বাম দলগুলো ছাড়াও এই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছে কংগ্রেস। জানা গেছে, ব্রিগেডের সভা থেকে বিধানসভা ভোটের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু করবে বাম-কংগ্রেস জোট। বামেদের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকতে পারেন সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং তেজস্বী যাদব।
বিধানভবনে এদিনের বৈঠকে আসন ভাগাভাগি নিয়েও বেশ কিছুটা এগিয়ে গেছে বাম-কংগ্রেস জোট। মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৯৩টি আসন নিয়ে রফা করতে পেরেছে জোট। এর মধ্যে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যে ৯২টি আসনে লড়েছিল কংগ্রেস, সেই সব আসন রয়েছে। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ওই ৯২টি আসনে এবারেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে কংগ্রেস। বাকি ১০১টি আসনে লড়বে বামেরা। আরো যে ১০১টি আসন রয়ে গেল, আগামী ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সেগুলো নিয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের শেষবার রাজ্যে ব্রিগেড সমাবেশ করেছিল বামেরা। ব্যাপক জমায়েত হয়েছিল সেই সমাবেশে। সেই ব্রিগেডে ক্ষণিকের জন্য এসেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। যদিও তিনি মঞ্চে উঠতে পারেননি বা গাড়ি থেকে নামেননি তবু তাঁর সেই স্বল্প উপস্থিতিই নতুন অক্সিজেন দিয়েছিলো বাম কর্মী সমর্থকদের। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে কোনো জায়গা করে নিতে পারেনি বামেদের ব্রিগেড। কারণ সেইদিনই সন্ধ্যায় সিবিআইয়ের আধিকারিকরা কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উপস্থিত হয়, যার 'প্রতিবাদে' ধর্মতলায় ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে সংবাদমাধ্যমের সম্পূর্ণ আলো ঘুরে যায় এই ঘটনার দিকে। এবার যেন সমস্ত সংবাদমাধ্যমের আলো একমাত্র ব্রিগেড সমাবেশের ওপরেই থাকে, তার দিকে নজর রাখছে সিপিআইএম।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।