মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাইক পুলিশ কমিশনারের নামে নথিভুক্ত রয়েছে! বিভিন্ন মহল থেকে এমনই অভিযোগ ওঠে। এবার সেই অভিযোগের ব্যাখ্যা দিল পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতা পুলিশের ব্যবহারের জন্য সরকারি যানবাহনগুলি প্রথমে সরকারি ভাবে পুলিশ কমিশনারের নামে নথিভুক্ত করা হয়। তারপরে সেগুলি বিভাগের হাতে ব্যবহারের জন্য তুলে দেওয়া হয়।
কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে পোষ্ট করে জানানো হয়েছে, সঞ্জয় রায়ের বাইক নিয়ে সমাজমাধ্যমে কয়েক জন বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছেন। কলকাতা পুলিশ যে সব সরকারি যানবাহন ব্যবহার করে, তা সবই নথিভুক্ত থাকে পুলিশ কমিশনারের নামে। তারপর সেই যানবাহন বিভিন্ন বিভাগের হাতে ব্যবহারের জন্য তুলে দেওয়া হয়। সিভিক ভলান্টিয়ারের ব্যবহার করা বাইকও কলকাতা পুলিশের কমিশনারের নামেই নথিভুক্ত ছিল।
তদন্ত সূত্রে খবর, ঘটনার দিন ধৃত ভলেন্টিয়ার চারবার এসেছিল আর জি করে। সেদিন হাসপাতালে তিনি বাইকে করেই এসেছিলেন। তেমনটাই দেখা গেছে সিসিটিভি ফুটেজে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, আর জি কর হাসপাতালের করিডরে যখন হাঁটছেন সিভিক ভলান্টিয়ার, তার হাতে ঝুলছে হেলমেট। শুধু তাই নয়। ধৃতের বাড়ির লোক, পড়শি, পরিচিতেরা দাবি করেছেন, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ‘কেপি’ (কলকাতা পুলিশ) লেখা বাইকে চেপে ঘুরে বেড়াতেন।
ঘটনার পর সঞ্জয় রায়ের বাইক বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। যদিও পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার সিবিআইয়ের কাছে চলে যাওয়ার পর বাইক তাদের হাতে তুলে দেয় পুলিশ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন