

গত ১১ দিন ধরে একাধিক দাবিতে SSKM হাপাতালের কলেজ অফ নার্সিং-এর সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন রাজ্যের প্যারামেডিক্যাল পড়ুয়া ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টরা। গত ২৮ আগস্ট থেকে এই আন্দোলন শুরু করেছিল তাঁরা। সময় যত গড়াচ্ছে আন্দোলনের তীব্রতা তত বাড়ছে।
তাঁদের দাবিগুলো হলো - প্যারামেডিক্যালের জন্য অবিলম্বে পৃথক কলেজ এবং হস্টেলের ব্যবস্থা করতে হবে।
সমস্ত কোর্সের উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এবং হেলথ ইউনিভার্সিটির মাধ্যমে ডিপ্লোমাদের জন্য ল্যাটারাল এন্ট্রি চালু করতে হবে।
পরিকাঠামো নেই সেই সব কলেজ এবং সুনির্দিষ্ট কোনো ভবিষ্যৎ নেই সেইরকম কোর্স অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
ইন্টার্নশিপের ভাতা বাড়িয়ে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা করতে হবে।
প্রতি বছর নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু রাখতে হবে এবং তা স্বচ্ছ হতে হবে।
প্যারামেডিক্যালের জন্য পৃথক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ব্রাঞ্চ তৈরি করতে হবে।
PPP মডেল (রেডিওলোজি, ডায়ালাইসিস ও অন্যান্য) বন্ধ করে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করতে হবে।
এই দাবি পূরণে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে গত ২৮ আগস্ট থেকে শান্তিপূর্ণ ও অরাজনৈতিক অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের এই দাবিকে সমর্থন করে একাধিক চিকিৎসক, নার্স সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু গত ১০ দিন লাগাতার বিক্ষোভের পরেও প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা রাজ্যের তরফ থেকে এবিষয়ে কোনো মন্তব্য আসেনি এখনো।
তাই মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের বিক্ষোভ কর্মসূচির এগারোতম দিনে অর্থাৎ গতকাল SSKM হাসপাতাল চত্ত্বরে একটি শান্তিপূর্ণ পদযাত্রার আয়োজন করেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সরকারি বেসরকারি হাসপাতালের পড়ুয়া ও সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টলা এই মিছিলে যোগদান করেছিলেন। কয়েক হাজার পড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন গতকালের এই মিছিলে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ব্যতীত বা দাবিদাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন তাঁরা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন