Kolkata: যোগমায়া দেবী কলেজে ভর্তি নিয়ে প্রিন্সিপালের সঙ্গে বিবাদ - প্রতিবাদে ছাত্রী বিক্ষোভ

ছাত্রীরা জানাচ্ছেন, লিস্টে যদি নাম না থাকতো তাহলে তাদের কাছে কোন এসএমএস যেত না। এসএমএস গেল কীভাবে? তাদের নাম দ্বিতীয় তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছে,তাহলে কেন তাঁদের ভর্তি নেওয়া হবেনা?
যোগমায়া দেবী কলেজের সামনে ছাত্রী বিক্ষোভ
যোগমায়া দেবী কলেজের সামনে ছাত্রী বিক্ষোভনিজস্ব চিত্র
Published on

কলকাতার যোগমায়া দেবী কলেজ ভর্তি হওয়া নিয়ে কলেজের প্রিন্সিপাল ও ছাত্রীদের মধ্যে বিরোধে আজ সকাল থেকে তুলকালাম। ইতিমধ্যে প্রথম পর্যায়ের ভর্তি তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। যাদের নাম দ্বিতীয় তালিকায় রয়েছে তাদেরকে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হয়েছিল ।

এদিন সকালে সেই সমস্ত ছাত্রীরা কলেজে ভর্তি হতে আসেন। কিন্তু কলেজের প্রিন্সিপাল জানিয়ে দেন তাদের ভর্তি নেওয়া হবে না। ভর্তির লিস্ট ইতিমধ্যে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। একথা জানার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্রীরা।

ছাত্রীদের বক্তব্য কী করে তা সম্ভব হয়! এখনও পর্যন্ত অনেক আসন শূন্য রয়েছে। তাদের নাম দ্বিতীয় তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছে,তাহলে কেন তাঁদের ভর্তি নেওয়া হবেনা? পাশাপাশি ছাত্রীরা জানাচ্ছেন, লিস্টে যদি নাম না থাকতো তাহলে তাদের কাছে কোন এসএমএস যেত না। এসএমএস গেল কীভাবে?

ছাত্রীরা আরও জানিয়েছেন, তাদের পরীক্ষার নম্বর অনেকটাই ভাল। সবকিছু ঠিক থাকার পরও কেন কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের ভর্তি নিচ্ছে না। ইতিমধ্যে যোগমায়া দেবী কলেজ-এর সামনে ছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। তাদের দাবি নাম থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না কেন? কলেজে অনেক সিট খালি আছে। তাহলে সেই শূন্য সিট কাদের জন্য বরাদ্দ করা হচ্ছে? অভিযোগের তীর ছুড়ে দেওয়া হয়েছে প্রিন্সিপালের দিকে। তাঁদের আরও অভিযোগ প্রিন্সিপাল ছাত্রীদের পুলিশের ভয় দেখাচ্ছেন।

ছাত্রীদের অভিযোগ, প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন, যদি তারা এমন বিক্ষোভ করে তাহলে পুলিশ ডেকে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত নষ্ট করে দেবেন বলেও তিনি হুমকি দিয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে একজন প্রিন্সিপাল এমন কথা কীভাবে বলতে পারেন। এই নিয়ে দীর্ঘসময় যোগমায়া দেবী কলেজের সামনে ছাত্রীদের বিক্ষোভ চলে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in