আমীর খানের Cryptocurrency ওয়ালেটের ১৪.৫৩ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল কলকাতা পুলিশ

১০ সেপ্টেম্বর, গার্ডেনরিচ এলাকায় আমির খানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে ইডি। ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকী ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

মোবাইল গেমিং অ্যাপ ‘E-Nuggets’-এর মাধ্যমে প্রতারণা কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত আমির খানের ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট থেকে ১৪ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে কলকাতা পুলিশ।  

এর আগে, গত ১০ সেপ্টেম্বর, গার্ডেনরিচ এলাকায় আমির খানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নগদ প্রায় ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এরপর, ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের একটি দল।

এরই মাঝে, বুধবার ক্রিপ্টোকারেন্সি প্লাটফর্ম বাইনেন্স (Binance) থেকে থেকে ১৪ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে কলকাতা পুলিশ। অর্থাৎ, এযাবতকাল আমির খানের কাছে থেকে মোট ৩১ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকার হদিশ পেয়েছে তদন্তকারি সংস্থার আধিকারিকেরা।    

জানা যাচ্ছে, বর্তমানে সিটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে অভিযুক্ত আমির খান। আগামী ৮ অক্টোবর, কলকাতার নিম্ন আদালতে তাঁকে তোলা হবে।

এই আর্থিক কেলেঙ্কারির নেটওয়ার্ক শনাক্ত করতে আমির খানকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাই ইডি। তবে, ৮ অক্টোবর, আমির খানকে নিয়ে কী রায় দেয় সেদিকেই তাকিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিনের পরই পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইডি৷

সূত্রে খবর, ই-নাগেটস (E-Nuggets) নামে একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপ চালু করেছিলেন আমির খান। যার ডিজাইন মূলত জনসাধারণকে প্রতারণা করার জন্য তৈরী করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, অ্যাপটি চালু করার পর ব্যবহারকারীদের কমিশন দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।

অভিযোগ, জনসাধারণের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রতারণা করার পর, অন্য একটি অজুহাতে উল্লেখিত অ্যাপ থেকে হঠাৎ করে জনগনের প্রাপ্য অর্থ প্রত্যাহার করা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি, প্রোফাইল সহ সমস্ত তথ্য সেই অ্যাপের সার্ভার থেকেও মুছে ফেলা হয়।

তারপরই ১০ সেপ্টেম্বর, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA)-এ কলকাতার ৬ টি জায়গায় অভিযান চালায় ইডি। সেসময়, কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকার শাহী আস্তাবল লেনে আমীর খানের বাড়ির খাটের নীচে থেকে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in