

তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের অভিযোগের ভিত্তিতে রাতারাতি গ্রেফতার করা হয়েছে ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান দাশগুপ্তকে। যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সিপিআইএম। প্রেস বিবৃতিতে এই ঘটনাকে আক্রোশমূলক বলে দাবি করেছে বামেরা। উল্লেখ্য, বিধাননগর আদালতের তরফ থেকে কলতানের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিপিআইএম-র পক্ষ থেকে শনিবার বিকেলে এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “কমরেড কলতান দাশগুপ্তের বেআইনি ও আক্রোশমূলক গ্রেপ্তারের ঘটনার আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় নিন্দা করছি। যে ঘটনাক্রমের মধ্য দিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাতে 'জাস্টিস ফর আরজি কর'-এর দাবিতে ঘটমান গণআন্দোলনকে বদনাম করার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের স্পষ্ট ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে”।
আরও বলা হয়, “আমরা কলতান দাশগুপ্তকে নিঃশর্তে মুক্তি দেওয়ার জন্য রাজ্য পুলিশের কাছে দাবি জানাচ্ছি। এবং এই ধরনের মিথ্যা জাল 'প্রমাণ' যারা তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য মামলা দায়ের করার দাবি জানাচ্ছি। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণ করা হোক এই দাবিতেও আমরা অটল আছি”।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এই ঘটনা দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলনকে বদনাম করার জন্য বিজেপি সরকারের পূর্বে ব্যবহৃত কৌশলগুলির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ভীমা কোরেগাঁও মামলা বা দিল্লি দাঙ্গা মামলার মতো নকল ও জাল ইলেকট্রনিক 'প্রমাণের' ভিত্তিতে আন্দোলনকারীদের মিথ্যা অভিযোগে কারারুদ্ধ করার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। এই জাতীয় কৌশলগুলি আরএসএস-এর ঘৃণ্য পদ্ধতির সুপরিচিত অংশবিশেষ”।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন