TET Scam: প্রাথমিকে আরও ৫৪ জন উত্তীর্ণকে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির

বনলতা সমাদ্দার নামে একজন আদালতে মামলা দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ বিচার করে নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি গাঙ্গুলি। এই নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়েছে কিনা তা ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি সমস্ত নথি দেখবেন।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়গ্রাফিক্স - নিজস্ব
Published on

রাজ্যে আরও ৫৪ জনকে প্রাথমিকে নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে এই নিয়োগ সম্পূর্ণ করতে হবে।

এসএসসির পাশাপাশি রাজ্যে টেট দুর্নীতি নিয়েও একাধিক মামলা চলছে। এরই মধ্যে ৫৪ জন টেট উত্তীর্ণকে চাকরিতে নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গাঙ্গুলি। বনলতা সমাদ্দার নামে এক মামলাকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়েছে কিনা, ২৮ সেপ্টেম্বর সমস্ত নথি দেখবেন তিনি। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে হলফনামা দিয়ে শূন্যপদের সংখ্যা জানাতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। পর্ষদ সেই অনুযায়ী নিয়োগকার্য সম্পন্ন করবে।

আদালত সূত্রের খবর, সোহম রায় চৌধুরী নামের এক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী নিয়োগের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন। সোমবার সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি ২৩ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দেন। সুতরাং সোমবারের ২৩ এবং আজকের ৫৪ মোট ৭৭ জনকে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে।

২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা হয়। তাতে অভিযোগ ওঠে ছ’টা প্রশ্ন ভুল ছিল। অভিযোগ সামনে আসার পর একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর ২০১৮ সালে কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে বলা হয় যাঁরা ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সকলকেই সম্পূর্ণ নম্বর দেওয়া হবে। সোহম বাবুর মতো অনেককেই এই ৬ নম্বর দেওয়া হয়নি। ফলে অনুত্তীর্ণ হয়েই ছিলেন সেইসব চাকরিপ্রার্থীরা।

যাঁরা ২০১৪ সালে টেটে পাস করেছিলেন তাঁদের নিয়োগ হয় ২০১৬ এবং ২০২০ সালে। অনুত্তীর্ণ থাকায় তাঁরা নিয়োগ পাননি। ২০২১ সালে ডিসেম্বরে এঁদেরকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এখনও চাকরি পাননি তাঁরা। তাঁদের দাবি তাঁরা যেহেতু উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী তাই চাকরির ১০০ শতাংশ দাবিদার তাঁরা। বিচারপতি পর্ষদের গাফিলতির কথা উল্লেখ করে এদিন নিয়োগের নির্দেশ দেন।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় মমতার পরিবারকে চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমার নির্দেশ হাইকোর্টের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in