

শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর। অতিক্রান্ত হয়েছে ১৭ ঘন্টা। এখনও ধর্মতলায় অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। শুক্রবার রাতেই তাঁরা ধর্মতলা থেকে কর্মবিরতি তোলার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকারকে ২৪ ঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দেন। ১০ দফা দাবিকে সামনে রেখে হুঁশিয়ারির সুরে জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকার দাবি না মানলে তাঁরা আমরণ অনশন শুরু করবেন।
শুক্রবার এসএসকেএম থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এরপর ধর্মতলা থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন। এরপরেই তাঁরা নিরাপত্তা সংক্রান্ত ১০ দফার কথা জানিয়ে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘‘আমরা এই ঘড়ি নিয়ে এসেছি। প্রতি মিনিট, ঘণ্টার হিসাব হবে। তাই এই ঘড়ি অবস্থান মঞ্চে থাকবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় যদি সরকার আমাদের দাবি না মানে, তবে আমরা জীবন বাজি রেখে আমরণ অনশন শুরু করব।“
শুক্রবার সন্ধ্যেয় এই ঘোষণার সময় ঘড়ির কাটায় তখন ৮ টা বেজে ২০ মিনিট। তখন থেকে এখনও পর্যন্ত ১৭ ঘন্টা অতিক্রান্ত। আর বাকি মাত্র ৭ ঘন্টা। তার মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি পূরণ না হলে আমরণ অনশনে যাবেন তাঁরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জুনিয়র ডাক্তারেরা বলেন, ‘‘আমরা ১০ দফা দাবি নিয়ে অবস্থানে বসছি।’’ সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেছে ২৬ শতাংশ কাজ হয়েছে। কিন্তু ৬ শতাংশও কাজ হয়নি। ন্যায়বিচারের দাবিতে যে আন্দোলন চলছে তা ৫৮ দিনে পড়েছে। আরজি করের মতো আর একটাও ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই কারণেই আন্দোলন। নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের নির্দিষ্ট কিছু দাবি আছে।“
অন্যদিকে, শনিবার ধর্মতলা থেকে অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। আমজনতার কথা মাথায় রেখে পুজোর সময় ধর্মতলা চত্বর থেকে অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। জানা গেছে, ইমেল মারফত এই অনুরোধ জানানো হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের।
শুক্রবার রাতেই পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্মতলায় মঞ্চ বাঁধতে না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। অভিযোগ, পুলিশের বাধার কারণে ডেকোরেটরের কর্মীরা মঞ্চ না বেঁধে ফিরে যান। অবশেষে তাঁরা নিজেরাই মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু করেন।
এদিকে শুক্রবার রাতেই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। জরুরী বিভাগে কাজে ফিরতে দেখা গেছে কয়েকজনকে। অনেকে হাত লাগান অস্ত্রপাচারেও।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন