

কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। কলকাতার নগরপাল পদত্যাগ না করলে অবস্থান বিক্ষোভ চলবে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গোলাপ নিয়ে, প্রতীকী মেরুদন্ড, রজনীগন্ধার মালা নিয়ে প্রতিবাদ জানান ডাক্তাররা। এমনকি বিনীত গোয়েলের কুশ পুতুলও দাহ করেন তাঁরা।
১৪ আগস্ট রাতে আরজি কর কলেজ ও হাসপাতালে দুষ্কৃতি তাণ্ডবের বিরুদ্ধে বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবি করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সোমবার কলেজ স্কোয়ার থেকে লালবাজার পর্যন্ত মিছিল করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কিন্তু ফিয়র্স লেনেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। তারপরই পুলিশকে ১০ মিনিটের সময়সীমা বেঁধে দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই সময়ের মধ্যে ব্যারিকেড তোলা হোক অথবা কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলকে তাঁদের সাথে দেখা করতে হবে। কিন্তু পুলিশ তাতে রাজি হয়নি। এরপর সেখানেই অবস্থানে বসেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেই অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। রাস্তা জুড়ে চলছে স্লোগান লেখা। সাদা, হলুদ, লাল, কালো কালিতে স্লোগান লিখে রাস্তা ভরাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি, আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের যে নির্মম ঘটনা ঘটেছে তা প্রথম থেকেই ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তাঁরা বলেন, "যে দিন রাতে (১৪ আগস্ট) হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হল সেই দিন এই সিপি কী করছিলেন? আর এখন আমাদের আটকানোর জন্য এত পুলিশ দিয়েছেন। পুলিশ আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে। আমরা প্রস্তুত এই পরীক্ষা দিতে। হয় ব্যারিকেড তুলে দেওয়া হোক নয় বিনীত গোয়েল পদত্যাগ করুন।"
পুলিশের তরফ থেকে এই প্রসঙ্গে বলা হয়, জুনিয়র চিকিৎসকদের ৫ জনের প্রতিনিধি দলকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে লালবাজার যাওয়ার জন্য। কিন্তু তাঁরা রাজি নন। আগেও যত লালবাজার অভিযান হয়েছে আমরা ফিয়র্স লেনেই মিছিল আটকেছি।
পাল্টা জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, আমরা কোনও রাজনৈতিক দল নই। আমাদের মিছিলের একদম শেষে যে আছে আর সামনে যে আছে সবাই একই। হ্যাঁ এটা ঠিক যে প্রতিনিধিদের দরকার হয়। তবে আমাদের আন্দোলনের জন্য এইভাবে প্রস্তুতি তারপর বলা হয়েছিল বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট পর্যন্ত যেতে দেওয়া হবে। কিন্তু পুলিশ নিজেদের মত পরিবর্তন করেছে। আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করেই লালবাজার যেতে চেয়েছিলাম।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন