
আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম মুখ তথা জুনিয়র চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়ার বাড়িতে পুলিশি তল্লাশির প্রতিবাদে শুক্রবার বিধাননগর কমিশনারেটের সামনে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। আজ বিকাল ৫ টায় বিধাননগর কমিশনারেটের সামনে সমাবেশের ডাক দিয়েছে জুনিয়র চিকিৎসক ও অভয়ামঞ্চ।
আসফাকুল্লা নাইয়ার বিরুদ্ধে সম্প্রতি ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়ার্স ডক্টরস অ্যাসসিয়েশন অভিযোগ আনে, তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিজেকে ENT (নাক, কান, গলা) বিশেষজ্ঞ বলে পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করছেন। জানা গেছে, এর জবাব চেয়ে তাঁকে চিঠি দেয় ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলর। সাত দিনের মধ্যে চিঠির উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। তা না হলে আসফাকুল্লার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেবে বলেও উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।
এরপরেই বৃহস্পতিবার আসফাকুল্লা নাইয়ার গ্রামের বাড়ি, কাকদ্বীপের প্রত্যন্ত গ্রাম রামতনুনগরে হাজির হয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ফেসবুক লাইভে এসে আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক জানান, সাতসকালে আচমকাই তাঁর গ্রামের বাড়িতে হাজির হন বিধাননগর কমিশনারেটের ৩০-৪০ জন পুলিশকর্মী। তল্লাশির নামে বাড়ি তছনছ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আশঙ্কা করছেন, পুলিশি তল্লাশির নামে যদি কেউ তাঁর বাড়িতে কিছু রেখে আসে, তখন কী হবে?
অন্যদিকে, শনিবার শিয়ালদা আদালতে আরজি কর কাণ্ডের রায়দান। সেদিন শিয়ালদা আদালতের বাইরে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট।
আরজি কর কাণ্ডে দু’মাস ধরে বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর গত ৯ জানুয়ারি শেষ হয় বিচারপ্রক্রিয়া। ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কেই একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করেছে সিবিআই। আদালতে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
এদিকে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে জাল স্যালাইন কাণ্ডে শুক্রবার মেদিনীপুরে যাচ্ছেন ওয়াস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট ও জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরসের প্রতিনিধিরা।
স্যালাইন কাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে এক প্রসূতির। এক প্রসূতি ভর্তি রয়েছে ওই হাসপাতালেই। বাকি তিন প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয়েছে এসএসকেএমে। প্রসূতি মৃত্যুর জেরে ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর মেডিক্যালের ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআরের দাবি জানিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণ কর্মবিরতির ঘোষণা করেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা। শুক্রবার সকালে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তাঁরা।
বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে মেডিক্যাল কলেজের জরুরী বিভাগ এবং ওপিডি। জরুরী বিভাগ সামলাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরাই। চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, সম্পূর্ণ কর্মবিরতি হচ্ছে না। জরুরী বিভাগ-সহ ওপিডি চালু থাকবে। বাকি অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর পরবর্তী পদক্ষেপের নেওয়া হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন