

১০ মার্চ, কলকাতা- মঙ্গলবার পূর্ব রেলে নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিং পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে রাজ্যের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে রাজ্যপালের দাবি, দমকলের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকার দরুন আগুন আয়ত্তে আনতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা সওয়া ছ'টা নাগাদ নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের ১৩ তলায় রেলের সদর দফতরে আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডের প্রধান উৎস হিসেবে প্রাথমিকভাবে সার্ভার রুমকেই চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। তার মধ্যে আছেন চারজন দমকলকর্মী, একজন পুলিশ কর্মী। ফরেনসিক দলের ধারণা, বাড়ির পুরোনো বিদ্যুতের ওয়ারিং ও ওভারলোডের কারণেই বিধ্বংসী আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে যায় দমকলের কুড়িটি ইঞ্জিন। ওইদিন রাতেই ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রেলের গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। তাঁর বক্তব্য, চাওয়া সত্ত্বেও রেলের কাছ থেকে ওই বিল্ডিংয়ের নকশা পাওয়া যায়নি। নকশা পাওয়া গেলে এতজনের মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হত। ঐদিনই গভীর রাতে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন।
অন্যদিকে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছে- দমকল ঘটনাস্থলে দ্রুত না পৌঁছনোতেই এই বিপত্তি। এদিন মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে রাজ্যপাল বলেন, 'ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।' রেলের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, 'রেলের আধিকারিকরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন। দমকল অনেক দেরিতে আসে। আর দমকলের কাছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকাতেই এই প্রাণহানি ঘটেছে। স্বভাবতই রাজ্যপালের এই বক্তব্যকে ঘিরে রাজ্যের সঙ্গে ফের সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন