

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ পাঠালো শাসকদল। বিধানসভার স্পিকারের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে। বিধানসভা সূত্রে খবর রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এই নোটিস পাঠিয়েছেন তাঁকে। তবে শুভেন্দু বা বিজেপির তরফে এখনো এর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বিধানসভার স্পিকার শাসকদলের হয়ে কাজ করছেন, এমনই অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু। এই মন্তব্য আইনসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন অধ্যক্ষের পক্ষে যথেষ্ট অবমাননাকর বলে মনে করছে তৃণমূল। তাই বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস এনেছে শাসক শিবির। তা ইতিমধ্যেই প্রিভিলেজ কমিটির কাছেও পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য কোনও বিধায়কের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস নতুন কিছু নয়। তবে প্রথমবার বিরোধী দলনেতা হয়েই এই নোটিস পেতে হল শুভেন্দু অধিকারীকে, যা নজিরবিহীন বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাজ্যপালের ভাষণের উপর আলোচনা চলাকালীন বিরোধী দলনেতার কিছু মন্তব্য 'অপ্রাসঙ্গিক' হিসেবে চিহ্নিত করেন স্পিকার। তা বিধানসভা অধিবেশনের কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ারও সুপারিশ করেন তিনি। প্রতিবাদে শুভেন্দু অধিকারী ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যান। তাঁর উপর ক্ষুব্ধ হন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই সাংবাদিক বৈঠকে অধ্যক্ষ শাসক দলের সয়ে পক্ষপাত করছেন বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু।
পাশাপাশি, বিধানসভার প্রথম অধিবেশনে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলে শাসক দল। তাদের অভিযোগ, অধিবেশন শুরুর আগে সর্বদল বৈঠক কিংবা বিএ কমিটির বৈঠকে হাজির ছিলেন না তিনি। পরবর্তীতে অধিবেশন চলাকালীনও বেশ কয়েকবার একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানিয়ে অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে চলে গিয়েছেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন