সস্তার জনপ্রিয়তা পেতে অতিরিক্ত লোক ঢুকিয়ে এই নির্মম ঘটনা - KK-র মৃত্যুতে TMCPকে দুষছে SFI
‘সস্তার জনপ্রিয়তা পেতে অতিরিক্ত লোক ঢুকিয়ে এই নির্মম ঘটনা ঘটানোর জন্য তৃণমূল পরিচালিত ছাত্র সংসদ এবং নজরুল মঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা উচিৎ।’ সঙ্গীতশিল্পী কে কে-র মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বুধবার একথা জানিয়েছেন এস এফ আই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য।
এদিন সৃজন আরও বলেন, ‘‘ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে গায়ক বারবার বলছিলেন এসি চালাতে। তোয়ালে দিয়ে বারবার তাকে ঘাম মুছতে দেখা যাচ্ছিল। অগত্যা না পেরে তিনি স্টেজের চড়া লাইটগুলো কমাতেও বলেন বলে শোনা যাচ্ছে। পুরো ঘটনাটাই অসংবেদনশীল।”
সৃজন আরও বলেন, ‘‘গায়ের জোরে ছাত্র সংসদ দখল করে গত দশ বছরে শিক্ষা ব্যবস্থার পরিকাঠামো ভেঙে দিয়েছে তৃণমূল। ওরা জানেনা কিভাবে এই ধরনের অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে হয়?’’ প্রয়াত গায়ককে গান স্যালুটে সম্মান জানানো প্রসঙ্গে সৃজন বলেন, ‘‘মুখ পুড়েছে। তাই এখন এসব করে ম্যানেজ দেওয়ার চেষ্টা করছেন উনি।
প্রসঙ্গত, গতকাল কলকাতায় নজরুল মঞ্চে এক কলেজের ফেস্টে সঙ্গীত পরিবেশন করতে আসেন প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী কে কে। জানা গেছে, অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফিরে তিনি অসুস্থ বোধ করার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে উদ্যোক্তা এবং নজরুল মঞ্চের কর্তৃপক্ষের দিকে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এবার কে কে-এর মৃত্যুতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে সরব হল এসএফআই।
এক প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পীর এই মর্মান্তিক পরিণতির দায় কার তা নিয়ে শাসকদলের ছাত্র সংসদের চূড়ান্ত অব্যবস্থাকে দোষী সাব্যস্ত করছেন নেটিজেনদের একাংশ। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেরই মত ধারণ ক্ষমতার প্রায় আড়াই গুণ অতিরিক্তি লোক ঢোকানোর ফলে গরমে নাজেহাল অবস্থাতেই এই ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগ, মঞ্চে গায়ক বারবার উদ্যোক্তাদের এসি চালাবার অনুরোধ করলেও অতিরিক্ত জনসমাগমের কারণে এসি চালানোর কোনো উদ্যোগই নেয়নি কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে এসি হীন হলে চড়া আলোয় গরমে নাজেহাল হতে দেখা গেছে কেকে-কে। এছাড়াও অভিযোগ, কৃত্রিম ধোঁয়া ছড়াতে নাকি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র থেকে ধোঁয়া ছাড়া হয়! সব মিলিয়ে যার করুণ পরিণতির শিকার হতে হল বলিউড গায়ককে।
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

