

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জট কাটার বদলে তা ক্রমশ জটিল হচ্ছে আরও। একদিকে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনের ৬০০ দিন অতিক্রম করে ফেলেছে চাকরিপ্রার্থীরা। এরই মধ্যে ফের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারির মুখে পড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। দরকার পড়লে নিয়োগ বন্ধ করে দেবেন বলে জানিয়েছেন বিচারক।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। আদালত সূত্রের খবর, শুনানি চলাকালীন পর্ষদের উপর যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট জানান, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বন্ধুর মতো আচরণ করছে না। তাই আমি আমার আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য হচ্ছি। আমি বলেছিলাম নিয়োগে বাধা দেব না। কিন্তু এখন যদি দেখি পর্ষদ আইন না মেনে কাজ করছে তবে পরীক্ষা বন্ধ করে দেব।
চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন চলাকালীনই টেট নিয়োগ সংক্রান্ত নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে, তা নিয়ে ফের আইনি জটিলতা তৈরী হওয়ায় এবার সরাসরি নিয়োগ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিল আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর এক লক্ষের বেশি চাকরিপ্রার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট প্রার্থীদের প্রাথমিকের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি, পর্ষদ যাতে সেই আবেদন অতি সত্ত্বর গ্রহণ করে, সেই নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন