
সোমবার সকালে আচমকাই নারদ কান্ডে অভিযুক্ত রাজ্যের চার নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এরপর থেকে সরগরম রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতি। সিবিআইয়ের নীতি নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। করোনা আবহে কেন এই গ্রেফতারি, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
আজ সকালে আচমকাই বাড়ি থেকে নিজাম প্যালেসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া এবং পরে বিজেপি ছেড়ে দেওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়ে তাঁদের অ্যারেস্ট মেমোতে সই করানো হয়। এই গ্রেফতারিকে "রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক" বলে উল্লেখ করেছে তৃণমূল। দলের যুক্তি, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাওয়া মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ থাকলেও, তাঁদের গ্রেফতার করেনি সিবিআই।
এই একই মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। করোনা পরিস্থিতিতে গ্রেফতারি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে নারদ কান্ডে চারজন প্রাক্তন ও বর্তমান মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আমার বক্তব্য সামান্য, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বাংলার কেউ যেন না হন। কাউকে ধরব, কাউকে ছাড়বো সিবিআই এই নীতি গ্রহণ করতে পারে না। নারদ কান্ড, সারদা কান্ড বাংলার বহু পরিচিত দুর্নীতির ঘটনা। সারা বাংলা করোনা আবহে আক্রান্ত। মানুষের মধ্যে ত্রাহি ত্রাহি রব। মানুষ আজ দিশেহারা। এই অবস্থায় গ্রেফতার করাটা কি সমীচীন হয়েছে?"
অপরদিকে এই গ্রেফতারিকে বেআইনি বলে উল্লেখ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের গ্রেফতারিতে তাঁর অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীর নাম না নিয়ে তিনি বলেন, এই মামলায় আরও কয়েকজনের নাম রয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম মারফত আমরা জানতে পেরেছি। এমন কয়েকজন যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছেন। তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। সিবিআইয়ের ভয় ছিল স্পিকারের কাছে গেলে নিরপেক্ষভাবে আরও কয়েকজনের নাম ওখানে ঢুকতে পারে। তাই হয়তো আমার অনুমতি নেয়নি সিবিআই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন